পেনসিলনিয়াতে সাপের চামড়া দিয়ে তৈরি একটি পোশাক ৬৫০ ডলারে বিক্রি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নিউইয়র্কের একটি পত্রিকা প্রশ্ন তুলেছে, সাপের চামড়া পোশাক বিক্রি দেখে মনে হচ্ছে, আমরা কি তাহলে আগের দিনগুলোতে ফিরে যাচ্ছি, যখন মানুষ কুমিরের আর সাপের চামড়ার পোশাক পরে উৎসবে মেতে উঠত? আমরা কি ফ্যাশানের দোহাই দিয়ে ধীরে ধীরে তারই প্রচলন ঘটাতে যাচ্ছি?
কিন্তু আমরা জানি, এতে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। কেননা ব্যাপারটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এছাড়া আমাদের সমস্যা অন্য। আমাদের গ্রামবাংলার সমস্যা বর্ষার আতঙ্কিত রাতে সাপের সাথে একত্রে বসবাস করার । যোগাযোগ ব্যবস্থার ভয়াবহ অসুবিধের জন্য সাপে কাটা রোগীকে তাড়াতাড়ি কোনো হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা যায় না। তার অসহায় আত্মীয় স্বজনেরা নির্ভর করে থাকে ওঝা কিংবা গুণীন শ্রেণির লোকদের উপর। যাদের রহস্যময আচরণ প্রিমিটিভ সমাজের সেই অন্ধকার দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়।
আধুনিক পৃথিবীতে সাপের বিষের কিন্তু খুব চাহিদা। মূল্যবান ওষুধের উপাদান হিসেবে লাগে বিষকণিকা। বেশি কদর অবশ কোবরার বিষের। কুষ্ঠ রোগ নিরাময়ের জন্য আর গ্রন্থিবাতের চিকিৎসার কোষ ধ্বংস করার ক্ষেত্রেও এই বিষ উপকারী হবে বলে গবেষকরা আশা করছেন । মৃগী রোগ কিংবা অস্বাভাবিক মাথা ধরা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় বিষকণিকা । ভারতবর্ষের মাদ্রাজে রয়েছে ইরুলা উপজাতি। যারা বাস করে সমুদ্র তীরের বনভূমিতে। দক্ষ সাপুড়ে হিসেবে তাদের খ্যাতি রয়েছে। সাপ ধরাই হচ্ছে এদের একমাত্র পেশা। সাপের বিষ সরবরাহ করার ক্ষেত্রে এদের জুড়ি নেই।
এ অঞ্চলে সবচাইতে মারাত্মক সাপ হলো কোবরা, ক্রেইট, ভাইপার আর স্কেলড ভাইপার। প্রতিবছর লাখ লাখ লোক এসব সাপের কামড়ে আহত হয়। এদের চিকিৎসা করা হয় ইরুলাদের দেয়া বিষ দিয়ে। কিভাবে এরা সাপের বিষ সংগ্রহ করে থাকে তা একজন সাংবাদিকের প্রতিবেদনে ছিল। সেই লেখার কিছু অংশ : খড়ের চালা দেয়া বড় আয়তাকারের মাটির দেয়ালে