পাতার নিচের ত্বক বেগুনি সবুজ বর্ণের। এর শিরাগুলোর ভেতরে বায়ুনালী আছে। এই উদ্ভিদের প্রচুর অতিরিক্ত বায়ুথলি আছে যা সব সময় পাতাকে ভেসে থাকতে সাহায্য
আমাজান নদীর গভীরতা যেখানে দু'ফুট ও যেখানে দোআঁশ মাটি সেখানেই এই উদ্ভিদকে বেশি দেখা যায় । এই উদ্ভিদের কাও বেশ মাংসল ও নরম। টিপলে পানি ও বাতাস বের হয়ে আসে। সন্ধ্যায় এর ফুল প্রস্ফুটিত হয়। প্রথম দিকে কুঁড়ি ফোটার সময় রং থাকে দুধশাদা । ধীরে ধীরে রং পরিবর্তিত হয়ে গোলাপি হয়। এর পাপড়ি অসংখ্য ।
উদ্ভিদের কল্যাণে এখন ছত্রাক লাগছে। ১৯৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী এক বিশেষ ধরনের ছত্রাক আবিষ্কার করেছেন । উদ্ভিদের শেকড়ে বাস করার সময় এই ছাত্রাক ফল উৎপাদন করার মতো কোনো অঙ্গ উৎপাদন করে না । অন্যান্য উদ্ভিদের শেকড়ে বাস করার সময় তাদের দেহ থেকে এক ধরনের প্রোটিন যৌগ নিঃসৃত হয়ে থাকে যা উদ্ভিদের শেকড় তাড়াতাড়ি
বৃদ্ধি করে। নতুন আবিষ্কৃত এই ছত্রাক ব্যবহার করা হলে কীটনাশক যৌগের দরকার হবে না। এর ফলে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, অতিরিক্ত ফলন বাড়াতে সারের দরকার নেই । বাতাস থেকে ছত্রাকটি সরাসরি নাইট্রোজেন সংগ্রহ করে সার তৈরির কাজ করতে পারবে। এ ছাড়া রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার ফলে ফসলের উৎপাদন বাড়ে।
পাতা থেকে এখন প্রোটিন তৈরি করা হচ্ছে। পাতাতে প্রোটিনের সন্ধান শুরু হয়েছে সতের শতকে। নানা ধরনের পাতা যা মানুষ খায় না তা থেকে প্রোটিন পাওয়া যায়। ভুট্টা, প্যাপিওকা ইত্যাদির পাতা থেকে নির্যাস বের করে প্রোটিন পাওয়া গেছে। এর জন্য প্রয়োজন সবুজ তাজা পাতা। পাতাগুলো কুচি করে কেটে থেঁতলে রস বের করা হয়। রসে গরম বাষ্প চালিয়ে দিলে প্রোটিন অংশ ঘন হয় । বিভিন্ন দেশের অপুষ্টি সমস্যা দূর করতে এই পাতার প্রেটিন উপকারে আসবে।