প্রকৃতির ফুলটি আবিষ্কৃত হয়েছে ১৮১৮ সালে। সে বছর বেনকুলেনের গভর্নর স্যার স্টামফোর্ড র্যাফেল গেলেন।
সুমাত্রার জঙ্গলে বেড়াতে। গহীন বনে তিনি এই বিশাল আকারের ফুলকে আবিষ্কার করলেন। পাঁচটি পাপড়ির ফুল। কমলা রঙের পাপড়ি । তাতে হলুদ ছিট। ফুলটি পরজীবী। খাদ্যের জন্য অন্য গাছের ওপর নির্ভরশীল । সে জন্য পাতা নেই । পাতা হলো উদ্ভিদের রান্নাঘর।
Sorsce
এই ফুলটি মাত্র কয়েকদিনের জন্য ফোটে। ফুলের পাঁচটি পাপড়ির মাঝখানে মুকুটের মতো একটা রিং দেখা যায়। ফুল ফোটার সময় বিচ্ছিরি একটা গন্ধ ছড়ায়। পচা মাংসের মতো গন্ধ। সেই গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি আসে । ঘটে পরাগ যোগ । এরপর বীজ প্রস্তুত হয়। বীজের সংখ্যা অনেক। বেশির ভাগ বীজ নষ্ট হয়ে যায়। কেবল মাত্র কিসুয়াস গাছের ছাল ফেটে যাওয়া অংশে এর বীজ অঙ্কুরিত হয়। স্যাঁতসেঁতে ভেজা পরিবেশে। অন্য কোথাও হয় না।
নানা কৌশলে উদ্ভিদ আত্মরক্ষা করে থাকে । পৃথিবীর ক্রমবিবর্তনের ভেতর দিয়ে এসব কৌশলের উৎপত্তি হয়েছে। বিভিন্ন জীবজন্তুর লোভী দৃষ্টি থাকে উদ্ভিদের ওপর । তাই প্রাকৃতিক নিয়মেই তাদের মাঝে আত্মরক্ষার কিছু কিছু উপাদান দেখা যায়। অনেক উদ্ভিদের আত্মরক্ষার বর্ম হিসেবে নানা ধরনের কাঁটা আছে। বেল, বাবলা, শিমুল, ফনীমনসা, গোলাপ, পদ্ম প্রভৃতি অনেক গাছের কাঁটা থাকে । অধিকাংশ কাঁটাই ধারালো । তৃণভোজী প্রাণিদের দূরে রাখার জন্যই এদের সৃষ্টি।
লেবু, বাগানবিলাস, ডুরান্টা প্রভৃতি গাছের কাণ্ডের শাখা-প্রশাখা কাঁটায় রূপান্তরিত হয়। এদের কাঁটাগুলো থাকে শাখার ডগায় বা পাতার কক্ষে । গাছের শরীরের ভেতরের টিস্যু বা কলা থেকে এই কাঁটার উৎপত্তি । সহজে তাই এদের স্থানচ্যুত করা যায় না।
কোনো কোনো গছের পাতা বা পাতার অংশবিশেষ কাঁটায় রূপান্তরিত হয়। এদের কাঁটার সাথে এক রকম বিষাক্ত রস থাকে ।