গভীর রাতে
এই শৈবালের আলোর খুব প্রয়োজন। আলোর সন্ধানেই তারা উপরে উঠে আসে। আলোর তীব্রতা বাড়লে আবার নিচে নেমে যায়। এই ছন্দের সাথে তাল মিলিয়ে মাছের ঝাঁকও সেখানে ওঠানামা করে। তাদের খাবার হলো ঐ প্লাঙ্
উদ্ভিদের ভেতরে যে জৈবিক ঘড়ির ছন্দ রয়েছে এই নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করে ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে জার্মান বিজ্ঞানী এরউইন বার্নিং জানালেন, সব উদ্ভিদের মধ্যেই একটি স্বয়ংক্রিয় ছন্দ আছে । প্রায় ২৪ ঘণ্টা অন্তর তার পুনরাবৃত্তি ঘটে। উদ্ভিদেরা সেই ছন্দের সাহায্যেই সময় মাপতে সক্ষম হয়।
Sorsce
ম্যানগ্রোভ এলাকার গাছপালা নোনা মাটিতে যেসব গাছপালা জন্মে থাকে তাদের বৈশিষ্ট্য আলাদা। নোনা পানিতে যে সব উদ্ভিদ বাড়ে তাদের বলে হেলোফাইট । এই উদ্ভিদগুলো এক বিশেষ প্রাকৃতিক অভিযোজনের মাধ্যমে বেঁচে থাকে । এই গাছগুলো এমন যে, কিছুতেই নোনা মাটি ছাড়া বাঁচতে পারে না। এই সমস্ত উদ্ভিদে শোষিত অতিরিক্ত লবণ বাইরে বের করে দেবার জন্য পাতার আগায় হাইডেথোড নামে বিশেষ গ্রন্থি থাকে। উদ্ভিদের মূল দ্বারা অতিরিক্ত নোনা শোষণ করার ফলে পানি সংবহনকারী কলাতে চাপ পড়লেই এই পদ্ধতি কার্যকর হয়।
নোনা মাটির গাছেরা মূল দিয়ে অক্সিজেন গ্রহণ করে। মাটি
ফুঁড়ে ওঠা এই মূলকে বলে শ্বাসমূল । অন্য উদ্ভিদের বেলায় বীজ মাটিতে পড়ার পর বীজের অংকুরোদগম হয়ে থাকে । নোনা মাটি বীজের অংকুরোদগমের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই সেখানকার উদ্ভিদগুলোর বীজের অংকুরোদগম গাছে পাকা ফলের অভ্যন্তরেই হয়ে থাকে। ফল গাছে থাকতেই বীজের মধ্যে শেকড়ের উৎপত্তি হয়। এই অবস্থাতেই দণ্ডের আকারে কাণ্ডের আবির্ভাব ঘটে । গাছেই ফল ফেটে যাওয়ার পর অংকুরিত বীজ নোনা পানিতে পড়ে ভাসতে থাকে এবং জোয়ারের সময় ডাঙার এক স্থানে জড়ো হয়। সেখানেই মূল বের হয়ে কাণ্ডটিকে
২৪
এই শৈবালের আলোর খুব প্রয়োজন। আলোর সন্ধানেই তারা উপরে উঠে আসে। আলোর তীব্রতা বাড়লে আবার নিচে নেমে যায়। এই ছন্দের সাথে তাল মিলিয়ে মাছের ঝাঁকও সেখানে ওঠানামা করে। তাদের খাবার হলো ঐ প্লাঙ্কটন ।
উদ্ভিদের ভেতরে যে জৈবিক ঘড়ির ছন্দ রয়েছে এই নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করে ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে জার্মান বিজ্ঞানী এরউইন বার্নিং জানালেন, সব উদ্ভিদের মধ্যেই একটি স্বয়ংক্রিয় ছন্দ আছে । প্রায় ২৪ ঘণ্টা অন্তর তার পুনরাবৃত্তি ঘটে। উদ্ভিদেরা সেই ছন্দের সাহায্যেই সময় মাপতে সক্ষম হয়।
ম্যানগ্রোভ এলাকার গাছপালা নোনা মাটিতে যেসব গাছপালা জন্মে থাকে তাদের বৈশিষ্ট্য আলাদা। নোনা পানিতে যে সব উদ্ভিদ বাড়ে তাদের বলে হেলোফাইট । এই উদ্ভিদগুলো এক বিশেষ প্রাকৃতিক অভিযোজনের মাধ্যমে বেঁচে থাকে । এই গাছগুলো এমন যে, কিছুতেই নোনা মাটি ছাড়া বাঁচতে পারে না। এই সমস্ত উদ্ভিদে শোষিত অতিরিক্ত লবণ বাইরে বের করে দেবার জন্য পাতার আগায় হাইডেথোড নামে বিশেষ গ্রন্থি থাকে। উদ্ভিদের মূল দ্বারা অতিরিক্ত নোনা শোষণ করার ফলে পানি সংবহনকারী কলাতে চাপ পড়লেই এই পদ্ধতি কার্যকর হয়।
নোনা মাটির গাছেরা মূল দিয়ে অক্সিজেন গ্রহণ করে। মাটি
ফুঁড়ে ওঠা এই মূলকে বলে শ্বাসমূল । অন্য উদ্ভিদের বেলায় বীজ মাটিতে পড়ার পর বীজের অংকুরোদগম হয়ে থাকে । নোনা মাটি বীজের অংকুরোদগমের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই সেখানকার উদ্ভিদগুলোর বীজের অংকুরোদগম গাছে পাকা ফলের অভ্যন্তরেই হয়ে থাকে। ফল গাছে থাকতেই বীজের মধ্যে শেকড়ের উৎপত্তি হয়। এই অবস্থাতেই দণ্ডের আকারে কাণ্ডের আবির্ভাব ঘটে । গাছেই ফল ফেটে যাওয়ার পর অংকুরিত বীজ নোনা পানিতে পড়ে ভাসতে থাকে এবং জোয়ারের সময় ডাঙার এক স্থানে জড়ো হয়। সেখানেই মূল বের হয়ে কাণ্ডটিকে
২৪