পণ্য উৎপাদন : পণ্য শব্দটির ব্যবহার বলে দেয় যে উৎপাদিত দ্রব্যাদি বিপণনের জন্যই সমবায়ের ভিত্তিতে উৎপাদন করা হচ্ছে । তা সে উৎপাদিত দ্রব্য শস্য, ফুল, ফল, তন্ত্র, বীজ, বাঁশ, কাঠ, ডিম, দুধ, মাংস, চামড়া, মাছ যাই হোক না কেন। মূল উদ্দেশ্য লাভ বা মুনাফা অর্জন । কৃষি পণ্য উৎপাদন উৎপাদক এবং ভোক্তা অর্থাৎ ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যহানিকর না হয় এবং সেই সঙ্গে যেন পরিবেশবান্ধব হয়, সেই দিকেও লক্ষ রেখে কৃষি পণ্য উৎপাদন জরুরি।
সমবায়টি কোন কৃষি পরিবেশ অঞ্চলে অবস্থিত, কৃষি সমবায়ের অন্তর্ভুক্ত জমি শ্রেণি, মাটির গুণাগুণ, সমবায়ী পরিবারগুলোর বাজারের চাহিদা ইত্যাদি ও পরিবেশবান্ধবতা বিবেচনায় নিয়ে উৎপাদনের উপযুক্ত কৃষিপণ্য এবং উৎপাদন পদ্ধতি পরিকল্পনা করে সেই অনুযায়ী উৎপাদন করা যুক্তিযুক্ত । কৃষি ক্ষেত্রে এবং খামারে যাতে কোনো রোগবালাইয়ের উপদ্রব না হয়, হলেও যাতে তা কার্যকরভাবে নিরাপদ রাখা যায় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি থাকা দরকার । উৎপাদিত দ্রব্য নিরাপদে সংগ্রহ করার বিষয়টিও জরুরি। সংগ্রহের পর সংরক্ষণ পরিবহনের জন্য কিছু কাজ, যেমন বাছাই-ছাটাই, শ্রেণি বিভাজন, প্যাকেটজাতকরণ বা যথাযথ পাত্রে স্থাপন ইত্যাদি কাজও পণ্যের মানোন্নয়ন ও সংরক্ষণে সহায়ক হয়। উপযুক্ত সময়ে বিপণনের জন্য কম বেশি সময়ের জন্য পণ্য গুদামজাত করে রাখার প্রয়োজন । কৃষি পণ্য গুদামজাত করতে উপযুক্ত এবং কার্যকর পাত্র যেমন প্রয়োজন, তেমনি গুদামের পরিবেশও সৃষ্টি করতে হয় । ধান, গম, ভুট্টা বিভিন্ন প্রকার ডাল ইত্যাদি পণ্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ শুকানোর প্রয়োজন হয় এবং বায়ুরোধক পাত্রে রেখে পাকা গুদামে রাখতে হয়। খুব ধনী কৃষক না হলে একজনের পক্ষে এই সকল সুবিধা সৃষ্টি সম্ভব নয়। সমবায় এই আয়োজন সহজেই করতে পারে। কৃষি পণ্য বিপণনে আরেকটি কার্যক্রম হলো নিরাপদ পরিবহন । পরিবহনের পাত্র, খাঁচা, প্যাকিং ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্যাকিং নির্ভর করে পণ্যের