যুদ্ধের শোচনীয় পরাজয় ভুলতে পারল না। তারা আবার মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করল। হযরত উমর (রা) পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হয়ে জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন। হযরত সা'দ ইবন আবি ওয়াক্কাসকে মুসলিম বাহিনীর সিপাহসালার মনোনীত করা হলো। তাকে যুদ্ধ শুরু করার পূর্বে কাদিসিয়ার প্রান্তরে তাবু ফেলে দূত মারফত পারস্যের দরবারে ইসলামের দাওয়াত প্রেরণে নির্দেশ দেয়া হলো। ইসলামের পয়গামসহ পারস্যের দরবারের মুসলিম দূত প্রেরিত হল; কিন্তু পারস্যরাজ ইয়াজদিগার্দ দূতকে অপমান করে দরবার হতে তাড়িয়ে দিলেন। পারস্যরাজ্যের এ অশোভন আচরণের ফলে যুদ্ধ ত্বরান্বিত হলো। মহাবীর রুস্তমের নেতৃত্বে পারস্যের ফৌজ মুসলিম বাহিনীর মোকাবেলা করার জন্য যুদ্ধ ত্বরান্বিত হল। মহাবীর রুস্তমের নেতৃত্বে পারস্যের ফৌজ মুসলিম বাহিনীর মোকাবেলা করার জন্য প্রেরিত হলো। সেনাপতি রুস্তমকে ইসলাম আনয়নের প্রস্তাব করা হলে তিনি এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সমগ্র আরবকে ছিন্ন বিছিন্ন করার সংকল্প ঘোষণা করলেন। তিনি ১,২০,০০০ সুসজ্জিত সৈন্যের বিরাট বাহিনীসহ মুসলমানদের বিরুদ্ধে অগ্রসর হলেন। অপরদিকে মুসলিম সৈন্যবাহিনীর সংখ্যা ছিল ষাট হাজার। তন্মধ্যে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ৯৯ জন সাহাবাসহ মোট ১০০০ সাহাবা ছিলেন। মুসলিম সেনাপতি হযরত সা'দ (রা) অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি তার স্থলে হযরত খালিদ বিন আরতাফাকে নিয়োগ করেন এবং নিজে যুদ্ধক্ষেত্রের নিকটবর্তী একটি পুরাতন রাজপ্রাসাদের ছাদে ওঠে শায়িতাবস্থায় যুদ্ধ পরিদর্শন করতেন। প্রয়োজনমতো হযরত খালিদ বিন আরতাফাকে নির্দেশ দিতেন। ৬৩৫ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে কাদিসিয়া প্রান্তরে তুমুল যুদ্ধ আরম্ভ হলো। এ যুদ্ধ তিনদিন স্থায়ী ছিল। আবরদের নিকট প্রথম দিনে যুদ্ধ ইয়াউমুল আরমাছ অর্থাৎ বিশৃঙ্খলার দিন, দ্বিতীয় দিনের যুদ্ধ ইয়াউমুল আগওয়াস সাহায্যের দিন এবং তৃতীয় দিনের যুদ্ধ ইয়াউমুল উন্মাস অর্থাৎ দুর্দশার দিন নামে পরিচিত। তৃতীয় দিন সারারাত যুদ্ধ চলেছিল বলে ঐ রাত “লাইঃলাতুল হারীর” অর্থাৎ গোলযোগপূর্ণ রাত নামে পরিচিত । দ্বিতীয় দিনে যুদ্ধে সাহাবীর কাকা যুদ্ধের ময়দানে অবতরণ করেই পারস্যবাসীকে মল্যযুদ্ধে আহ্বান জানালেন । পারস্যের প্রসিদ্ধ বীর বাহমান হযরত কা'কার বিরুদ্ধে ছুটে আসলেন। কিন্তু হযরত কা'কা (রা) সহজেই তাকে ধরাশায়ী করে পরপারে পাঠিয়ে দিলেন। পারস্যবাহিনী বীরত্ব সহকারে যুদ্ধ করেও অবশেষে পরাজিত হলেন। রুস্তুম নিজে লড়াইয়ের ময়দান হতে পলায়ন করতে গিয়ে নিহত হলেন। রুস্তমের মৃত্যুতে পারস্যবাহিনী বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ল এবং মুসলিম বাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!