রাষ্ট্রীয় কাজে

in r2cornell •  3 years ago 

রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহারের জন্য কোনো দেশের সংবিধান স্বীকৃত ভাষাকে ঐ দেশের রাষ্ট্রভাষা বলে। একটি রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভিন্ন ভাষার ব্যবহার থাকতে পারে। যেমন বাংলাদেশে বাংলা, চাংমা, আচিক, মণিপুরী ভাষা ইত্যাদি; ভারতে বাংলা, গুজরাটি, হিন্দি, পাঞ্জাবি, কানাড়ি ভাষা ইত্যাদি; পাকিস্তানে পাঞ্জাবি, বেলুচ, সিদ্ধি ভাষা ইত্যাদি। এতে রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক কাজ কোন ভাষাতে পরিচালিত হবে- এই প্রশ্ন আসে। এ প্রশ্ন সমাধানকল্পে কোনো কোনো রাষ্ট্র নির্দিষ্ট এক বা একাধিক ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম ভাগের তৃতীয় অনুচ্ছেদে লিপিবদ্ধ আছে : প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা।

রাষ্ট্রের সর্বাধিক মানুষের বোধগম্য ভাষা হিসেবে সাধারণত রাষ্ট্রভাষা স্বীকৃত হয়ে থাকে। এ ভাষায় রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড, যেমন শিক্ষাপ্রদান, পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, সাহিত্যরচনা, সংবাদপত্র প্রকাশ, সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান পরিচালনা দলিল-দস্তাবেজ লিখন, রাষ্ট্রীয় নথিপত্র লিপিবদ্ধকরণ ইত্যাদি সম্পন্ন হয়। পাকিস্তানে রাষ্ট্রভাষা উর্দুর পাশে ইংরেজিকেও দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ভারত প্রজাতন্ত্রের সংবিধানষীকৃত কোনো রাষ্ট্রভাষা বা জাতীয় ভাষা না থাকলেও দাপ্তরিক কাজকর্মের ভাষা হিসেবে হিন্দির পাশাপাশি ইংরেজি স্বীকৃত। ভারতের রাজ্যগুলোতে প্রশাসনিক কর্মে আঞ্চলিক ভাষাসমূহ ব্যবহার হয়। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড রাজ্য এবং আসাম রাজ্যের বরাক উপত্যকার অন্যতম

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!