নারী জাগরণের অগ্রসূত রোকেয়া রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন একজন সমাজসচেতন, সং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রগতিশীল লেখক ও সমাজকর্মী। রোকেয়া মনে করতেন, পড়তে লিখতে পারাই নারীশিক্ষার উদ্দেশ্য নয়, শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো নারীকে তার অধিকার লাভে সক্ষম করে তোলা। প্রকৃত একজন নারীকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। নারীরা যাতে অন্যের গল্লাহ হয়ে জীবন যাপনে না হয়, সে বিষয়ে তিনি নারীদের সচেতন করতে সামাজিক
শিক্ষহণে সচেনতা বৃদ্ধির জন্য তিনি ১৯১৬ সালে অনুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম' বা মুসলিম নারীদের সমিষ্টি তোলেন। মুসলিম নারী সমাজকে সংগঠিত করতে নিখিল ভারত মুসলিম মহিলা সমিতি', 'বেগম উইয়ের এডুকেশনাল কনফারেন্স', 'নারীতীর্থ সংস্থা প্রভৃতি সংগঠনে যোগ দেন এবং নারীর উন্নয়নে দেশবাসীতে উৎসাহিত করেন। তিনি ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে ক্ষুরধার লেখনী ধারণ করেন। নারীর অধিকার নিশ্চিত করে। জন্য পুরুষের বহুবিবাহ, নারীদের বাল্যবিবাহ এবং পুরুষের একতরফা তালাক প্রথার বিরুদ্ধে লেখনী দালা করেন। রোকেয়ার এই প্রচেষ্টার ফলে ১৯৬১ সালে মুসলিম পারিবারিক আইন পাশ হয়।
উপসংহার: সমাজ ও নারী কলাশ সাধনে রোকেয়ার অবদান অনস্বীকার্য। সমাজ ও সভ্যতার অগ্রসরতার পেছনে নারী ও পুরুষ উভয়ের ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু নারীকে পিছনে রেখে সমাজের সার্বিক অগ্রগতি যে সাত নয়, তা রোকেয়া গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। তাই রোকেয়ার সংগ্রাম ছিল পুরুষ ও নারীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা।