COVID 19 এর লকডাউনে আমার অভিজ্ঞতা

in r2cornell •  3 years ago 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

সারা বিশ্ব এখন এক ভয়াবহ সময় পার করছে। কোনো দেশই কোভিড-১৯ এর ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি তত খারাপের দিকে যাচ্ছে। পৃথিবীর সব নামকরা শহর আজ লকডাউন হয়ে আছে। সব ব্যস্ততা কেটে গেছে, সবকিছু থমকে গেছে, সময় যেন কোনো এক অশুভ শক্তি এসে থামিয়ে দিয়ে গেছে।

লকডাউনের এই দিনগুলোতে ঘরে আটকে আছি আমরা সবাই। কর্মব্যস্ততাকে ভুলে চিরচেনা শহর ঢাকাও যেন অলস হয়ে গেছে। ব্যস্ততা নেই এখন আমাদের অনেকেরই।

বিশেষ করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীদের। ঘরে বসে সময় কাটাতে কাটাতে সবকিছু এখন অনেকটা একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে। আমরা হয়তো ঘরে বসে সময় কাটাচ্ছি, তবে সময় কি থমকে আছে? নেই!

সময় তার নিজ গতিতে চলছে, আমি লকডাউনে দেখেছি অসহায়দের অবস্থা, আমি দেখেছি লকডাওনে চাকরী জীবিদের অবস্থা, আমি দেখেছি লকডাউনে ধনী ব্যক্তিদের অবস্থা, আমি দেখেছি লকডাউনে শিক্ষকদের অবস্থা, আমি দেখেছি লকডাউনে মাদ্রাসার ওস্তাদ গণের অবস্থা।

যারা অসহায় তাদের পেটে তো মোটামুটি খাবার জুটত কিন্তু যখন লকডাউন দেওয়া হল তখন ঠিকমতো বাইরে বের হতে পারত না দৈনন্দিন তারা কাজ করতে পারত না যার কারণে তাদের আহাদের অনেক সংকট হয়েছিল, আর কিছু মানুষ তো এমন হয়েছিল যাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল তারা পেটের দায়ে ছিনতাই, খুন, রাহাজানি, শুরু করে দিয়েছিল।

লকডাউনে চাকুরেদের অবস্থা কেমন হয়েছিল অনেকেই চাকরিহারা হয়েছে তারা এখন কি করবে না পার্টি অফিসে যাইতে না পারছে ঘরে বসে থাকতে স্ত্রী ছেলে মেয়ে আছে তাদেরকে ভরণ পোষণ করতে হবে।

আর যারা বিত্তশীল তাড়াতাড়ি বিত্তশীল হয়েছে কোটি কোটি টাকার মালিক তারা আরও হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে।
আর যারা স্কুল-কলেজে শিক্ষক ছিলেন তাদের তো লকডাউন সুখে সুখে কেটেছে কারণ তাদের স্কুল কলেজে যাইতে হয় নাই বাড়িতে বসে বসেই বেতন পেয়েছে।

আর শিক্ষার্থীদের কথা তো সবার জানা প্রথমাবস্থায় যখন আমাদের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা গুলো বন্ধ হলো তখন তো আমরা অনেক খুশি হয়েছিলাম তখন আমরা লকডাউন কি বুঝতাম না অন্যান্য দেশের লকডাউন এর কথা শুনতাম এতেই যতোটুকু বুঝতাম। এরপরে তো আমাদের এই লকডাউন দেখলাম।
লকডাউনে যখন স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে গেল বাড়িতে অযথা বসে বসে সময় কাটছিল ঠিক তখনই আমি ব্লাড ব্লগ এর কথা জানতে পারলাম এবং ব্লাড এ যোগ দিলাম। এখন আলহামদুলিল্লাহ দিরেদিরে একটা পর্যায়ে যাচ্ছি আপনাদের দোয়া কামনা করছি।
খোদা হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!