১. পরমাণু দেখা যায় শক্তিশালী মাইক্রোস্কোপ দিয়ে। কিন্তু প্রোটন/নিউট্রন/ইলেক্ট্রন দেড়খা যায় না কারণ তারা আরো তারা আরো লক্ষ গুন্ ছোট পরমাণুর চেয়ে। তবে এগুলো খালি চোখে না দেখা গেলেও ের পরিবেশে যে প্রভাব ফেলে তা থেকে এদের অস্তিত্ব বোঝা যায়। যেমন যে কোনো চার্জড কণা গেলে ক্লাউড চেম্বারে একটা ট্র্যাক দেখা যায়।
২. পরমাণু ভেঙে নিউট্রন বার করে সেটাকে বুলেটের মতো ব্যবহার করে অন্য পরমাণুতে আঘাত করা হয় না। নিউক্লিয়ার রিএক্টরে থাকছে উরেনিয়ামের কিছু দণ্ড। ইউরেনিয়াম পরমাণু stable নয়। প্রাকৃতিক ভাবেই আস্তে আস্তে এরা নিউট্রন ত্যাগ করতে থাকে stable হবার জন্য। রিএক্টরে অনেকটা ইউরেনিয়াম কাছাকাছি রাখা থাকে। একটা থেকে যে নিউট্রন বেরোলো সেটা এবার পাশের একটা ইউরেনিয়াম পরমাণুকে ধাক্কা দিলো। প্রাকৃতিক ভাবে যেমন এরা ক্ষয় হয়, ধাক্কা দিলেও হয়। তো সেই ধাক্কায় একাধিক নিউট্রন বেরোলো এবং তারা আবার আরো পরমাণুকে ধাক্কা দিয়ে আরো নিউট্রন তৈরী করলো, এরকম চলতে থাকছে। প্রতিটা ধাক্কায় টপ্ তৈরী হয়। এটা একটা চেন বিক্রিয়া হচ্ছে। না থামালে অল্প সময়েই বিরাট পরিমান তাপ তৈরী হয়ে একটা বোমা হয়ে যাবে। সেটা পরমাণু বোমা। আর এটাকে কন্ট্রোল করা যাবে যদি ওই নিউট্রনের গতি এবং সংখ্যা কন্ট্রোল করা যায়। সেজন্য রিএক্টরে ওই ইউরেনিয়াম রড গুলো জলে ডোবানো থাকে। নিউট্রন বাইরে বেরিয়ে জলের মধ্যে দিয়ে যাবে, জলের সাথে ধাক্কা লেগে ওগুলো আস্তে হয়ে যাবে। আর যে টপ্ তৈরী হচ্ছে তাতে জল গরম হয়ে বাস্প তৈরী হবে, সেই বাস্পে টারবাইন ঘরে, সেটা থেকেই পারমাণবিক বিদ্যুৎ তৈরী হয়। অর্থাৎ এখানে কোনো জ্বালানি ব্যবহার না করেই জল বাস্প হয়, আর বাস্প ব্যবহার করে বিদ্যুৎ তৈরী তো আমরা জানিই।
৩. অন্য কোনো কাজের জন্য যদি ইলেক্ট্রন / প্রোটন সোর্স লাগে তো সেগুলোর একটা সোর্স নেওয়া হয়, (যেমন উচ্চতাপে বস্তু থেকে ইলেক্ট্রন বের হতে পারে ) তারপর ইলেকট্রিক বা ম্যাগনেটিক ফিল্ড ব্যবহার করে সেগুলো চালনা করা যায়। এগুলো পার্টিকেল এক্সেলারেটর এ হয়ে থাকে।