‘ফুচকা’! এই নামটা শুনলেই তো জিবে জল চলে আসে। কুড়মুড়ে গোলাকৃতির একটা পাপড়ির ভেতর মসলাদার ঝাল ঝাল চটপটি আর তার ওপর টক-মিষ্টি তেঁতুলপানি। আস্ত একটা ফুচকা মুখে পুরে নিয়ে কামড় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে যায়। এরপর মুখে স্বাদের যে ঝড় ওঠে, সেটার তুলনা কি অন্য কিছুর সঙ্গে হয়? না, একদমই হয় না। সারা সকাল স্কুলে একঘেয়ে ক্লাসটাস করে ছুটির পর বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মিলে আড্ডা দিতে দিতে ফুচকা খাওয়ার যেমন জুড়ি নেই, তেমনি কোনো এক ঝড়-বৃষ্টির দিনে নিজের একলা সময় পার করতে গিয়েও এই খাবারই সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। উৎসবে-পার্বণে ঘুরতে গেলে তো ফুচকা চাই-ই চাই। এই মুখরোচক খাবারটি প্রায় সবারই প্রিয়, তা হোক সে ভোজনরসিক কিংবা বেরসিক, সব মানুষকেই কাছে টানে ফুচকা। তাই আমাদের আশেপাশে খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে, যারা ফুচকা খেতে ভালোবাসে না।
ফুচকা বাংলাদেশসহ পুরো উপমহাদেশেরই একটি বিখ্যাত জনপ্রিয় জলখাবার কিংবা স্ন্যাকস। বলতে গেলে স্ন্যাকসের রাজা এই ফুচকা। বাংলাদেশ এবং ভারতের শহরাঞ্চলে প্রায় সর্বত্রই এই খাদ্যটির প্রচলন রয়েছে।
ফুচকাকে ডাকা হয় নানা নামে। যেমন গোলগাপ্পা, ফুলকি, টিক্কি, পানি কে বাতাসে, ফুচকা, গুপচুপ, বাতাসি, পাকাড়া, পানিপুরি ও পাকোরি। এসব নামকরণের কারণও বেশ মজার। যেমন গোলগাপ্পার নামকরণ গোল একটা ফুচকাকে এক গাপ্পায় অর্থাৎ একেবারে মুখে পুরে নেওয়ার কারণে হয়েছে। আবার পানিপুরি বলা হয় ফুলন্ত মচমচে পুরির ভেতর টক- ঝাল-মিষ্টি পানি দিয়ে খাবার কারণে। ফুচকার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রচলিত নাম হলো পানিপুরি, যার উদ্ভব হয়েছিল ভারতের দক্ষিণ বিহারে। প্রথম দিকে ফুলকি নামে পরিচিত এই খাবার সম্পর্কে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক জার্নাল অব ইন্ডিয়া বিশদ বিবরণ দিয়েছে।
ফুচকার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রচলিত নাম হলো পানিপুরি, যার উদ্ভব হয়েছিল ভারতের দক্ষিণ বিহারে। প্রথম দিকে ফুলকি নামে পরিচিত এই খাবার সম্পর্কে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক জার্নাল অব ইন্ডিয়া বিশদ বিবরণ দিয়েছে। ওই বিবরণে এ খাবারের উৎপত্তিস্থল হিসেবে অবশ্য ভারতের বারানসির কথা বলা হয়েছে। জনপ্রিয় খাবার লুচির ক্ষুদ্র সংস্করণকে শক্ত কুড়মুড়ে করে খাওয়ার প্রচলন শুরু হয়েছিল। পরে মোগলাই খানার সংস্পর্শে এসে এর চেহারায় পরিবর্তন আনে ভারতীয়রা। সাধারণ শক্ত লুচি পরিণত হয় মসলাদার-রসাল গোলগাপ্পা তথা পানিপুরিতে, যা আমাদের দেশে ফুচকা নামে পরিচিত।