সকলকে স্বাগতম আমার ফটোগ্রাফি ও বাড়ির কার্যক্রম লেখাটিতে
আশা করি সকলেই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চলেছি আমার বাড়ি তৈরির কাজ এবং সেই সাথে কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য।
বাড়ি তৈরির কাজ
১৫ দিন পূর্ব থেকে আমার বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এবং আমরা জানি যে বসবাসের জন্য সুন্দর একটি পরিবেশ আমাদের দরকার। সবার যে অনেক টাকা ব্যয় করে বাড়ি তৈরি করার সক্ষমতা রয়েছে তা ঠিক নয়। তবে যার যেমন সামর্থ্য রয়েছে সে মানুষগুলো সেভাবেই তাদের বসবাসের স্থানগুলো তৈরি করে থাকেন।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ইট, বালু,লাল বালু, সিমেন্ট ও লোহার রড।
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
ইট | ১৫০০০ হাজার |
বালু | ১২০০ফুট |
লালবালু | ১০০ফুট |
সিমেন্ট | ১৫০ ব্যাগ |
লোহার রড | ১৫০০ কেজি |
এবং এগুলো সঠিক পরিমাণ এই মুহূর্তে আমার পক্ষে উল্লেখ করা সম্ভব হয়ে উঠতেছে না । কারণ যারা আমার বাড়িতে ইঞ্জিনিয়ার এবং রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেছেন, তাদের হিসাব অনুযায়ী কিছু মালামাল আনা হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয় এর পরে আরো কিছু আনতে হবে। এবং এ পর্যন্ত যে পরিমাণের মালামাল আনা হয়েছে বাড়িতে তৈরীর কাজের উদ্দেশ্যে সেগুলো আমি উল্লেখ করেছি।
আমার বাড়ির তেতুল গাছের দৃশ্য
তেঁতুল কি?
তেতুল একটি ফল বলতে পারেন এবং আমি ফটোগ্রাফিতে ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি দৃশ্যটি যে এই ফলটি দেখতে কেমন বা গাছটি দেখতে কেমন। এক কথায় এতে তোর হচ্ছে এক প্রকার টক স্বাদযুক্ত ফল।
তেঁতুলের উপকারিতা
এই টকস্বাদের ফলটি খুবই উপকারী। এবং এগুলো যখন পেকে যায় তখন এটি বাদামী রং ধারণ করে। এবং এই ফলের ভেতরের যে অংশটি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়, এটি দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। এবং এক বছরের অধিক পুরনো এই পাকা তেঁতুল খুবই উপকারী উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগীদের জন্য। এবং যে কোন মানুষ যদি কারো দীর্ঘ সময় ধরে মাথায় ভার মনে হয় তাহলে এই পুরাতন তেতুল একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ খেলে মাথার এই বাড়ি ভাবটা কমে যায়। এবং টক স্বাদের জন্য অনেক তরকারিতে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তেঁতুল গাছের উপকারিতা
আমরা জানি যে প্রতিটা গাছ অনেক বেশি উপকার করে মানুষের। এই তেঁতুল গাছ আমাদেরকে ছায়া দেয় যেটি গরমের সময় খুবই প্রয়োজন। তেঁতুল গাছের কাঠ খুবই শক্ত প্রকৃতির। জ্বালানি হিসেবে এই তেঁতুল কাঠ খুবই মূল্যবান। ইটের ভাটায় জ্বালানি হিসেবে এই তেতুল গাছ ব্যবহার করা হয়। যদিও আসবাবপত্র তৈরির কাজে তেমন একটা ব্যবহার দেখা যায় না এই তেঁতুল কাঠের। যেহেতু এই গাছের পাতা কারো সবুজ এবং প্রচুর পরিমাণে পাতা দেখা যায় এই গাছে, সেজন্য এই গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন নির্গত হয়। এবং কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে। তাই দেখা যায়, তেঁতুল গাছ যে অঞ্চলে আছে, সেখানকার কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ অনেকটা কম।
তেঁতুল গাছ পাওয়া যায় যে অঞ্চলে
সাধারণত দেখা যায় লবণাক্ত অঞ্চলে এই তেঁতুল গাছ বেশ দেখা যায়। কারণ এই গাছের লবণ সহনশীল ক্ষমতা অনেক বেশি।
ফটোগ্রাফি গুলো সংশয় করা হয়েছে আমার নিজস্ব মোবাইল ক্যামেরা এবং নিজেও বাসভবন এলাকা থেকে।
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা,
আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme8 |
Location | Bangladesh |
Shot by | @piya3 |