১। আপনার সন্তানকে এভাবে বলবেন না: উঠো, নামাজ পড়ো, নইলে তুমি জাহান্নামে যাবে।
বরং বলুন: আসো আমরা একসাথে নামাজ পড়ি, যাতে আমরা জান্নাতে একসাথে থাকতে পারি।
২। আপনার সন্তানকে বলবেন না: তোমার রুমটি গোছাও। এবং ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করো।
বরং বলুন: তোমার রুম গোছাতে আমার সহযোগীতা প্রয়োজন? তুমি তো সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করো মাশাআল্লাহ।
৩। আপনার সন্তানকে বলবেন না: ঘরে বা রাস্তায় বল নিয়ে খেলবে না। বরং বলুন: মাঠে খেলাধুলা কত আনন্দের তাই না?
৪। আপনার সন্তানকে বলবেন না: উঠো, পড়াশুনা করো এবং খেলাধুলা ছাড়ো, কারণ পড়াশোনা করা খেলাধুলার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। বরং বলুন: তুমি যদি তোমার পাঠ তাড়াতাড়ি শেষ করো, তাহলে তুমি তোমার ইচ্ছেমত খেলতে পারবে।
৫। আপনার সন্তানকে বলবেন না: খাওয়ার পর হাত ধুতে ভুলবে না। বরং বলুন: তোমার ধোয়া হাতের ঘ্রান আমার খুব ভালো লাগে।
৬। আপনার সন্তানকে বলবেন না: দেয়ালে রং দিয়ে আঁকাআঁকি করো না। বরং বলুন: কাগজে আঁকতে থাকো এবং তোমার অঙ্কন শেষ হলে আমি দেয়ালে ঝুলিয়ে দিবো।
৭। আপনার সন্তানকে বলবেন না: এগুলো কি অঙ্কন করেছো?! বরং বলুন: আমি তোমার অঙ্কন অনেক পছন্দ করি। তোমার রং এর ব্যবহারও অত্যন্ত দারুণ। তোমার লাল টকটকে সূর্য অঙ্কনটি আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। এত সুন্দর কি করে আঁকো আমাকে একটু বলবে?
৮। আপনার সন্তানকে বলবেন না: বাম কাতে ঘুমাবে না। বরং বলুন: জানো, আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের ডান কাত হয়ে ঘুমানো শিখিয়ে গেছেন। আমাদের ডান কাতে ঘুমানো উচিত।
৯। আপনার সন্তানকে বলবেন না: বোকা, এত সহজ একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলে না কেন? বরং বলুন: তোমার উত্তরটি ঠিক হয়েছে। তবে এ প্রশ্নটির উত্তর আরো সুন্দর করতে তোমার সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। দ্বিতীয় প্রশ্নটি দেখো তো সুন্দর করে উত্তর করতে পারে কি না? তুমি খুব মেধাবী। আমার বিশ্বাস তুমি পারবে।