জীবনকে উপলব্ধি করতে শেখায়। জীবনের বাস্তবতাকে খুব কাছ থেকে দেখতে শেখায়। ছবির মানুষটি ঢাবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। সবেমাত্র দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছে। যেই সময়ে তার বন্ধু, সহপাঠী, ব্যাচমেট সবাই আড্ডা দিচ্ছে, ঘুরছে, দেশ বিদেশে ট্যুর দিচ্ছে, সেইসময় ও দায়িত্ব নিতে শিখে গেছে৷ বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা। রয়েছে ছোট ভাইবোন। টানাপোড়েনের সংসার। মাস শেষে ওষুধের পিছনে চলে যায় হাজার হাজার টাকা। সংসারের এই অবস্থা দেখে উচ্চশিক্ষারত কোনো সন্তান কি জীবনকে উপভোগ করতে পারো? পারে কি বাবা-মায়ের করুণ মুখের দিকে তাকাতে? প্রতিনিয়ত অসুস্থ বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে হয়তো মনে মনে বলে, "এইতো বাবা, আর কয়েকটা দিনই তো আমার সফলতার বাকি"। কিন্তু এখনই যে তার বাবাকে অসুস্থ দেখে সে সুস্থ থাকতে পারেনা। তাইতো নিজের টিউশন করানো টাকা থেকে নিজে একটু কম খেয়ে, সেটা জমিয়ে বৃদ্ধ বাবার জন্য ওষুধ কিনেছে। সেই ওষুধ ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জে পাঠানো হবে কুরিয়ারে। ছবিতে দেখছেন কুরিয়ারে পাঠানোর জন্যই প্যাকেটিং করা হচ্ছে। এই ওষুধে হয়ত তার বাবা কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠবে। আর এতেই সে শান্তি পাবে।
বাবার জন্য সন্তানের এ আত্মত্যাগের কাহিনী লেখার ভাষা আমার জানা নেই। চারিদিকে শুধু বাবা- মায়ের উপর সন্তানের নির্মমতার গল্প শুনি। কিন্তু শত শত রাসেল'দের আত্মত্যাগ ও ভালোবাসার গল্পও কিন্তু কম নয়।
"শিশু যেমন মায়ের কোলো নিরাপদ,
বৃদ্ধ বাবা-মা ও হয়ে উঠুক সন্তানের কোলে নিরাপদ।"
ঢাবির মাস্টারদা' সূর্য সেন হলের গনরুম থেকে,
মুহাঃ ওয়ালিউল্লাহ।
সেশনঃ ১৯-২০