বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম শাখা হলো কাব্য। চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য কবিতা সংকলন এবং চর্যাপদের কবিতাগুলো গাওয়া হতো তাই এগুলো একইসাথে গান ও কবিতা।
হাজার 907 সালে ডক্টর হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজধানীর গ্রন্থাগার হতে চর্যাচর্যবিনিশ্চয় নামক প্রতিটি আবিষ্কার করেন। চর্যাপদ এর সাথে ডাকার্নব ও দোহাকোষ নামের আরও দুটি বই নেপালের রাজ গ্রন্থাগার হতে আবিষ্কৃত হয়।
সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে চর্যাপদ গুলো রচিত এবং বাংলার পাল বংশের রাজা ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তাদের আমলে চর্যাগীতি গুলোর বিকাশ ঘটেছিল এবং চর্যাপদ সহজিয়া বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সাহিত্য।
বৌদ্ধ তান্ত্রিকসহ যে ধর্মের সাধন রীতির নিদর্শন চর্যাপদ এর প্রধান লক্ষ্য। গ্রন্থের নামে এ লক্ষ্য স্পষ্ট অনুভব করা যায়। নেপালে প্রাপ্ত প্রতিটিতে গ্রন্থের নাম বর্ণিত হয়েছে চর্যাচর্যবিনিশ্চয় বলে অর্থাৎ 25 পথ গুলোর সাহায্যে কোনটি চার্য অর্থাৎ আচরণীয় আর কোনটি অনার্য অর্থাৎ করণীয় তা নির্ণয় করা যেতে পারে। পাল বংশের পরে আসে সেন বংশ সেন বংশ হিন্দু ধর্ম এবং ব্রাহ্মণ্য সংস্কার রাজধানী হিসেবে গ্রহণ করে যার ফলে বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য এদেরকে বিতাড়িত হয় এবং নেপালে আশ্রয় গ্রহণ করে। তাই বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন বাংলাদেশের বাহিরে নেপালে পাওয়া গেছে।
Thanks #blurtofficial