কিছু মানুষ যতই ধাক্কা খাক, চড় থাপ্পড় খাক, অপমানিত হোক, তবুও হাভাতের মতো পড়ে থাকে একটা জায়গা আঁকড়ে, একটা মানুষকে আঁকড়ে, একটা পরিবার আঁকড়ে, কয়েকটা বন্ধুবান্ধব আঁকড়ে
এমন নয় যে এই মানুষগুলো শিক্ষিত নয়, বা অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, বা সমাজে এঁদের পরিচিতি নেই। যথেষ্ট পরিচিতি আছে, অন্য অনেকের চেয়ে এই মানুষগুলো অনেকবেশি সম্মান পায় সমাজে, খুব পরিচিত মুখ এঁরা সকলেই, এবং যথেষ্ট শিক্ষিত
তবুও এঁরা এঁদের সম্মান অসম্মান বোধবুদ্ধি নিজের ক্লাস স্ট্যান্ডার্ড ভুলে অযোগ্য মানুষের সাথে ভীষণ গভীরে জড়িয়ে পড়ে, অন্যের সবটুকু দুঃখ কষ্ট ব্যথা দূর করার চেষ্টা করে।
কিছুতেই এঁরা নিজেদের জীবনকে গোছাতে পারে না, কাউকে মুখের উপর "না" বলতে পারে না। যে মানুষ বৃক্ষ হওয়ার ক্ষমতা রাখে, সেই মানুষটাই অন্যের শেকড়ে পরগাছার মতো জড়িয়ে যায়, হ্যাংলামি করে, হাসি পেলে হাসে জোরে জোরে, কান্না পেলে কাঁদে
নিজের সবটা উজাড় করে ভালোবাসে, বারবার ক্ষমা করে, অভিমান করে, কান্নাকাটি করে, কিন্তু অভিযোগ করে না কখনো
মুখ গুমড়ে পড়ে থাকে, যেচে সবাইকে উপকার করে, যে নিন্দে করে, তারও কিছু হলে সাহায্য করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে, এঁরা কোনকিছুই লোক দেখানোর জন্য করে না, এঁদের স্বভাবটাই এরকম।
এঁদের ঠকানো, পিষে মেরে ফেলা খুব সোজা, বেসিক্যালি এরা সবার কাছেই খুব সহজলভ্য নিজের নরম স্বভাবের জন্য, সস্তাও বটে। নিজের ব্যক্তিগত জায়গা বলে কিছু থাকে না এঁদের, সবাইকে ওয়েলকাম করে হাসিমুখে নিজের একচিলতে ঘরে, অন্যের নোংরা নিজে হাতে পরিষ্কার করে.
আর এতকিছুর পরেও যাদের জন্য যা কিছু করে, তাঁদের কাছেই সম্মান পায় না, এঁরা ঠিক বাথরুমে রাখা ফুঁটো বালতি, কিংবা উনুনে পুড়ে যাওয়া স্টিলের বাটি, ফেলতেও মায়া লাগে, আবার রাখাও যায় না নিজের কাছে.
ঠিক এরকমই পার্সোনালিটি এঁদের, এঁরা বড্ড বেশি ভালো হয়, বড্ড বেশি সৎ হয়, বড্ড বেশি সহজ হয়, বড্ড বেশি স্বচ্ছ হয়, আর এখনকার দিনে এই গুণ গুলো নিয়ে বেঁচে থাকা একরকমের পাপ.