হ্যালো বন্ধুরা
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি ভাল আছেন।
আমি আজ আমার নিত্যদিনের পরিচিত একটা এরিয়া নিয়ে আলোচনা করব।
জন্ম সূত্রে আমি বাগেরহাটে বড় হয়েছি।তারপর পড়াশোনার জন্য খুলনা পাড়ি জমিয়েছিলাম।আমার পাশের উপজেলা চিতলমারী, যেটা এখন আমার দৈনন্দিন গন্তব্য। চিতলমারী আমার প্রতিবেশী উপজেলা হলেও কখনও সেখানে যাওয়া হয় নাই।
বাগেরহাটের এই উপজেলা অনেকটা নিগৃহীত ছিল। সেই জন্য আমার মনের ভিতর ও এই জায়গা নিয়ে একটা নেগেটিভ ধারনা ছিল।
যখন আমার পোষ্টিং দেয় তখন বার বার ঈশ্বর কে মনে মনে বলছিলাম যেন এই চিতলমারীতে পোষ্টিং না হয়। কিন্তু ভাগ্য বিধাতা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছেন সবকিছু। আমার জয়েনিং ওখানেই হলো।
মন খারাপ নিয়ে পরদিন রওয়ানা হলাম সেই অসুন্দর জায়গায়! কিন্তু না,যতটা খারাপ আর অনুন্নত ভেবেছিলাম সেরকম না।কালের ছোঁয়া সেখানেও লেগেছে।
ঠাকুরদাদা বলেছিলেন যে ওখানে তারা নিয়মিত যেতেন এবং তারা এতটা পথ পায়ে হেটে যেতেন যা আমাদের প্রজন্ম চিন্তাই করতে পারি না।
যাই হোক আজ আমার নিত্য দিনের ঠিকানা সেই অসুন্দর অনুন্নত জায়গাটায়। এখন আমার ভালোই লাগে।গ্রামের রাস্তা দিয়ে নিজের বাইকে আমি সেখানে যাই।
চিতলমারী যেতে কিছু অপরূপ সৌন্দর্য্যের স্বাক্ষী আমি প্রায়ই হই। আজ তার কিছু অংশ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
ডুমুরিয়া বাজার পার হতেই এই সৌন্দর্য ধরা পড়বে যেকোনো সৌন্দর্য প্রেমিকের চোখে।দুপাশে বিল,মাঋে মাঋে কিছু বসতি গড়ে উঠেছে। তার ভিতর দিয়ে সরু পিচ ঢালা রাস্তা। আমার গ্রামের বাড়ি থেকে সেখানে যাতায়াতের মাধ্যম হলো অটোভ্যান।
যাইহোক সরু পিচ ঢালা পথের দুই পাশে যখন আপনি তাকাবেন,দেখবেন দিগন্ত জোড়া নীল মেঘ আস্তে আস্তে যেন ভূমিতে পতিত হয়েছে।
আর একটা জিনিস না শেয়ার করলেই নয়। অফিসের কাজে মাঝে মাঝে এই এলাকার মানুষের বাড়িতে যেতে হয়েছে। তাদের আথিতেয়তা সত্যিই চমৎকার ছিল।
মাঝে মাঝে অফিস থেকে ফিরতে রাত হয়।আজও আমার ১০৫ বছর বয়সী ঠাকুরদা বলেন "এত রাত করে ওই রাস্তা দিয়ে আসবা না।ওখানে ডাকাত হামলা করে।
কলিগাতি,বারাশিয়া,শিবপুর নামক স্হান গুলো নাকি ছিল ডাকাতদের আতুড়ঘর।" তাকে যতোই বলি এখন আর আগের মতো নাই, পরিবর্তনের ছোঁয়া এই জনপদেও লেগেছে, সে বিশ্বাস ই করতে চায় না।
সবাইকে ধৈর্য্য সহকারে পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
Hello friends
How are you all? I hope you are well.
Today I will discuss a familiar area of my daily life.
By birth, I grew up in Bagerhat. Then I moved to Khulna for my studies. My neighboring upazila is Chitalmari, which is now my daily destination. Although Chitalmari is my neighbor upazila, I have never been there.
This upazila of Bagerhat was very neglected. That's why I had a negative idea about this place in my mind.
When my posting was given, I was repeatedly asking God not to post in this Chitalmari. But God has decided everything beforehand. I joined there.
The next day I went to that ugly place with a bad mood! But no, not as bad and underdeveloped as I thought. The touch of time is there too.
My grandfather said that they used to go there regularly and they walked so much that our generation can't even imagine.
Anyway today my daily address is in that ugly undeveloped place! Now I feel good. I go there on my bike through the village road.
Going to Chitalmari I often witness some amazing beauty. Today I am sharing some of it with you.
As soon as you cross the Dumuria Bazar, this beauty will catch the eyes of any beauty lover. On both sides of the bill, there are some settlements. A narrow pitched road runs through it. Autovan is the mode of transportation from my village home.
However, when you look on either side of the narrow pitched road, you will see the blue clouds on the horizon slowly falling to the ground.
Not if you don't share one more thing. Sometimes I have to go to people's houses in this area for office work. Their hospitality was really nice.
Sometimes it is late to return from office. Even today, my 105-year-old grandfather says, "Don't come through that road late at night. Robbers attack there."
Also said, "Places like Kaligati, Barashia, Shibpur were the haunts of dacoits." No matter how much I tell him that it is not like before, the touch of change has also touched this town, he does not want to believe it.
Thanks everyone for reading the post patiently.
Shoot By: saha10
Device: One plus
Camera: 48 Megapixel
Location: Bangladesh