নবিজীর (সা.) যে উপদেশ পরিবারের জন্য অনুপ্রেরণা

in life •  2 years ago 

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম সকল প্রশংসা মহান আল্লাহতালার আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু কেমন আছেন সবাই আশা করি মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান রব্বুল আলামীনের অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি,

nari-20220309133828 (1).webp

আজকের বিশেষ করে নারীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে কথা বলবো বিষয়টা আমাদের নারীদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন তো চলুন আজকে যে বিষয়টা নিয়ে কথা বলব সেই বিষয়টা হচ্ছে।
নবিজীর (সা.) যে উপদেশ পরিবারের জন্য অনুপ্রেরণা
আমাদের সমাজে বেশিরভাগ ই দেখা যায় বর্তমান সময়ে নারীরা বাজারে হাটে আসলে এটা মোটেও ঠিক না ঘরের কাজে যে সকল নারীরা সবসময় নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখে তারাই হচ্ছে উত্তম তাদের নাকের ডগায় মাথার কপালে ঘরের কাজ করার চিহ্ন ফুটে উঠে।
যদি ঘরে কোন কাজ না থাকে তার পরেও ওই মহিলার চেহারার মধ্যে অত্যন্ত রান্না করার ধোয়া কাল মলিন চেহারা দেখা যায়।
আর আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে এসব নারীদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে।
নারীদের কাজকর্মের জন্য উপকৃত হয় সমাজ পরিবার নারীরা যখন পরিশ্রম করে তখন তারা তাদের পরিবারের জন্য তাদের সন্তানদের জন্য পরিবারে প্রত্যেকটা মানুষের জন্য উপকার হয়।
অনেক সময় দেখা যায় যে নারীরা যখন পরিশ্রম করে তখন ঘরে থাকা ছোট শিশুরাও তাদের এই কাজ দেখে নিজেরা অনুপ্রাণিত হয় এবং কাজ করতে উৎসাহী হয়ে ওঠে।
পরিশ্রমী নারীদের জন্য নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বিশেষ একটি ঘোষণা দিয়েছেন ঘোষণাটি হচ্ছে:-
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন কেয়ামতের দিন আমি আর মলিন চেহারা নারীরা এভাবেই উপস্থিত হব,এ কথা বলার সময় তিনি নিজের শাহাদাত ও মধ্যমা আঙুল 'ভি চিহ্ন-এর মতো' মিলিয়ে দেখিয়েছেন।
নারীদের পরিশ্রম কঠোর কার্যক্রম তাদেরকে সুস্থ রাখে এটা দেখে পরিবারের অন্যান্য লোকেরা অনুপ্রাণিত হয়।
সুতরাং ছোটবেলা থেকে নিজের সন্তান সন্তানাদির কে ধৈর্যশীল পরিশ্রমী করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নারীদের ভূমিকা অপরিসীম।
নারী সাহাবীদের কাজ
ইসলামের প্রথম দিক থেকেই তাদের কাজের দিকে তাকালেই টাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে প্রথম দিক থেকেই নারীরা নিজেদের কাজ নিজেরাই সমাধান করার চেষ্টা করত এবং নিজেদের কাজ নিজেরাই করত,
১ নারীরা রান্না করার কাজ নিজের হাতে নিজেরাই সম্পন্ন করে।
২ ঘরে রুটি বানানোর জন্য চকিতে নিজেরাই গম পিশত
৩ রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহার করার জন্য পুকুর থেকে পানি নিয়ে আসচো।
৪ নিজের জামা কাপড় নিজে সেলাই করে এবং সে গুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে।
৫ সাংসারিক কাজ এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে এই দিন যাপন করত।
৬ যদি খুব বেশি প্রয়োজন হতো তাহলে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তো।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা কি বুঝতে পেরেছি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিশ্রমই নারীদেরকে খুবই পছন্দ করেন কেয়ামতের দিন পরিশ্রমী নারীদেরকে নিয়েই তিনি কিয়ামতে উপস্থিত হবেন হাশরের মাঠে তাহলে আমরা নারীরা যারা রয়েছে তারা নিজেদের জান-মালের হেফাজত করে নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর দেখানো সুন্নত অনুযায়ী চলার চেষ্টা করব নিজেকে একজন পরিশ্রমি নারী হিসেবে সমাজে তুলে ধরব তাহলে আমরা জীবনের সফলতা অর্জন করতে পারব কেয়ামতের দিন আমাদের কোন কষ্ট হবে না নবীর সামনে বুক ফুলিয়ে দাঁড়াতে পারবো আল্লাহ তাআলার কাছে অনুগ্রহ প্রার্থনা করতে পারব সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে সে পর্যন্ত আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!