এদিকে সুস্মিতা ক্লাস নাইন পাস করে ট্রেনে উঠে ক্লাসের ভালো ছাত্রী রোল 1 তার বাবা বেশ ভালো একজন মানুষ
গ্রামে বেশ সুনাম রয়েছে তিনি একজন সৎ মানুষ পড়াশোনার পাশাপাশি সুস্মিতা ছোটখাটো কাজ করে তার মায়ের সাথে সাহায্য করে।
পরীক্ষার রেজাল্ট দেওয়ার কিছুদিন পরেই হঠাৎ করে সৌরভ কাউকে না জানিয়ে তার নানুর বাড়িতে চলে আসে সেই বিকেল বেলা পুকুর পারে যায় কিন্তু সুস্মিতাকে সেখানে আর দেখতে পায় না সে কিছুটা হতাশ হয়ে যায়।
তার মনের মধ্যে অন্যরকম এক অনুভুতির সৃষ্টি হয় সে ভাবতে থাকে সেটাকে সুস্মিতাকে হারিয়ে ফেলেছে সে তার নামটা পর্যন্ত জানতো না এর পরে পরদিন সে কোনো এক কারণে গ্রামের হাই স্কুলে চলে যায় ওখানে গিয়ে সুস্মিতাকে দেখতে পায় তার মানে আবারো আনন্দ ফিরে আসে।
সুস্মিতাকে দেখার সাথে সাথে সে তার মনের কথা তার সামনে প্রকাশ করে তখন সুস্মিতা অনেকটা অবাক হয়ে যায় কারণ সে ছেলেটাকে চেনো না জানতো না কিন্তু ছেলেটা হঠাৎ করে এসে তার মনের অনুভূতি গুলো তার সামনে প্রকাশ করল ছেলেটা তাকে কতটা ভালোবাসে বোঝানোর চেষ্টা করল সেখানে কিছু না বলে।
স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ার পর সোজা বাড়িতে চলে আসে সৌরভ সুস্মিতা কে ফলো করা শুরু করে কোথায় থেকে এসেছে কোথায় যাচ্ছে এভাবেই সৌরভ প্রতিদিন সুস্মিতার পিছন পিছন স্কুল থেকে বাড়ি বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়া শুরু করে কিন্তু সুস্মিতা কোন কথাই বলেনা।
তার কয়েকদিন পর সুস্মিতা জানতে পারে যে সৌরভ তাদেরই গ্রামের জমিদারের নাতি,
তখন সে আরো ভয় পেয়ে যায় যে এত বড় লোকের ছেলে এসে আমাকে প্রপোজ করছে আমি যদি কারো সাথে সম্পর্ক করি যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে তো আমার বাবার মান সম্মান থাকবে না সেসব ভেবে কিছুদিন থাকে কিন্তু সৌরভের পাগলামি দিন দিন বেড়েই যায়।
একদিন সে হঠাৎ করেই সুস্মিতার পর থাকলে দ্বারা এবং সে তাকে জিজ্ঞেস করে কেন তাকে কোন জবাব দিচ্ছে না তখন সুস্মিতা তাকে বলেছিল যে তুমি কি আমাকে আমার মত করে ভালবাসতে পারবে।
কথাটা শুনে সৌরভ কিছুটা চমকে গিয়েছিল যে আমি তোমাকে তোমার মত করে ভালবাসলাম আনে সে পাল্টা প্রশ্ন করে সুস্মিতা কে।
তখন সুস্মিতা বলে দেখাও তুমি অনেক বড় ঘরের সন্তান কিন্তু আমার বাবা একজন কৃষক তুমি যদি আমাকে সত্যিকারে ভালবেসে থাকো তাহলে তুমি তোমার সবকিছু ছেড়ে দিয়ে আমাকে আমার মত করে ভালবাসতে হবে আমি যেভাবে আছি সেভাবেই ভালবাসতে হবে।
তখন সৌরভ সুস্মিতা কে বলে হ্যাঁ আমি তোমাকে তোমার মত করে ভালোবাসবো তবে আমাকে কিছুদিন সময় দিতে হবে আমি একটু প্রতিষ্ঠিত হয়েই আমি তোমাকে আমার কাছে নিয়ে যাবো।
সর্বে কথা বলে পরের দিন আবার ঢাকায় চলে যায় কলেজে ভর্তি হয় ভালো পড়াশোনা করেন ইন্টার পাশ করার পর সে আবার ভার্সিটিতে ভর্তি হয় ভালো একটা রেজাল্ট নিয়ে ভার্সিটি থেকে বের হয়ে আসে এরপর প্রায় তিন মাস পার হয়ে যায় ভালো কোন চাকরি পাওয়ার আশায় পরিশেষে একটা ভালো চাকরি পায় তার বাবা-মাকে সুস্মিতার কথা বলে।
কিন্তু তার বাবা মা কিছুতেই রাজি হয় না কারণ তাদের একমাত্র সন্তান শিক্ষিত তাদের গ্রামের সুনাম রয়েছে তারা যদি এই মেয়েটা কাদের ঘরের বউ করে আনে তাহলে কেমন দেখায়।
এদিকে সুস্মিতা ও এসএসসি পাস করে ইন্টার পাশ করে গ্রামের প্রাইভেট কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের ছোট একটা চাকরি করা শুরু করে বাবাও দিনদিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে সংসারের হাল ধরতে হবে এই ভেবে।
সৌরভ তার বাবাকে জানিয়ে দেয় সে যদি এই মেয়েকে বিয়ে করতে না পারে তাহলে সে আর কোন মেয়েকেই বিয়ে করবেনা তার এই মেয়ে চাই কারণ সে তাকে অনেক ভালোবাসে।