সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি 👇👇👇👇👇
নীলা:- তুমি আমাকে ভূলে যাও, আবির।
আবির:- কেনো এ কথা কেনো বলছো, তুমি।
নীলা:-আমি তোমাকে, ভালবাসতে পারব না!
আবির:-তাহলে এই তিন বছর। আমার সাথে কেন কাটিয়েছো??
নীলা:-আমি এই তিন বছরকে। ভুলে যেতে চাই আবির।
আবির:-আচ্ছা নীলা আমার দোষ কি। যে তুমি আমাকে
ছেড়ে চলে যাবে।
নীলা:-আবির,তোমার কোন দোষ নেই।
আবির:-তাহলে কেন তুমি আমাকে ।ভুলে যেতে চাও।
নীলা:-তাহলে কিছুই না। তুমি আমাকে ভুলে যাও।
আবির:-ও আচ্ছা, আমি কি, দেখতে খারাপ। সেজন্য আমাকে ভুলে যাবে।
নীলা:-আরে কি,বলছো তুমি এসব।
আবির:-নীলা, তাহলে তুমি কেন, আমাকে ছেড়ে চলে
যাবে।
নীলা:-দেখো আবির,আমি তোমাকে কোন কারণ বলতে পারব না। প্লিজ দয়া করে তুমি আমাকে ভুলে যাও।
আবির:-দেখো,নীলা আমি তো, তোমাকে ভুলে যাওয়ার জন্য,ভালোবাসিনি। আমি তোমাকে নিয়ে আমার, জীবনের সবচাইতে সুন্দর মুহূর্তগুলো অনুভব করেছি। আমি তোমাকে, আমার জীবনের সঙ্গী হিসেবে, পাবার জন্য ভালোবেসেছি,
নীলা:-আবির, আমি তোমার জীবনসঙ্গী, হতে পারব না, তুমি আমাকে ভুলে যাও।
আবির:- নীলার হাতটা তার হাতে নিয়ে বলল।
আবির:-নীলা কেন? আমার দোষটা কী বলো।
নীলা আবরের হাত থেকে নিজের হাতটাকে জোর করে ছাড়িয়ে নিয়ে নিলো?
নীলা:-কারন তোমার কোনো। চাকরি নেই।
আবির পকেট থেকে চাকরির
অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার বের করে
নীলার হাতে ধরিয়ে দিল,
আবির:-দেখো নীলা। গতকাল আমার চাকরি হয়েছে। ৩০ হাজার টাকা। বেতন পাবো।
নীলা:-দেখো আবির, তবুও আমি তোমাকে, ভালবাসতে পারব না।
আবির:-কিন্তু কেন ?এখন তো,আমার ভালো একটা,চাকরিও আছে।
নীলা:-কারণ আমাদের বিয়ের পর। তুমি তোমার বাবা মার সাথে। আমাকে নিয়ে রাখবে।এটা আমি কখনোই সহ্য করতে পারবো না, আর তোমার বাবা-মা সারাদিন।খুক খুক করে কাশে। এটা আমার কাছে একটুও ভালো লাগে না।
আবির:- দেখো নীলা, অফিস থেকে আমাকে একটা ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে, সাথে একটা গাড়িও দিয়েছে।
নীলা:- আবির আমি, তোমাকে,সত্যিই ভালোবাসি,
আবির:- দেখো নীলা,কিন্তু এখন আর আমি তোমাকে ভালবাসি না,
নীলা:- একটু আগেই তো।তুমি আমাকে বলেছিলে।তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো। এখন এ কথা কেন বলছো আবির
আবির:-কারণ,আমি একটু আগে, তুমি আমাকে ছেড়ে যাওয়ার। আসল কারণটা, আমি জানতে পারিনি,
নীলা:- দেখা আবির প্লিজ দয়া করো। এমন করো না। আমাদের তিন বছরের সম্পর্কটাকে। এভাবে নষ্ট করে দিও না,
আবির:- দেখো নীলা তুমি আমাকে। সত্তিকারের কখনোই ভালোবাসোনি, তুমি ভালোবেসেছো আমার টাকাকে, আর যে নারী। আমার বাবা মাকে নিজের। বাবা-মার মত আপন করতে পারবে না।সেই নারীকে আমি, আমার জীবনে কোথাও, ঠাই দিতে পারব না।
আবির এ কথা বলে,
নীলের হাত থেকে,
নিজের চাকরির অ্যাপয়েন্টমেন্ট,
লেটারটা নিয়ে সোজা হাঁটতে শুরু করে।
এখন আপনাদের কাছে,
আমার একটা প্রশ্ন,
আবির কি কোন ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো।
নাকি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল,
অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন,