ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের (আরলিংটন) এক সুবিশাল ভবনের নাম কল্পনা চাওলা হল (Kalpana Chawla Hall)। কল্পনা সে ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী। ১৯৮২ সালে, মাত্র বিশ বছর বয়সে ভারত থেকে গিয়ে সেখানে ভর্তি হয়েছিলো।
কল্পনা চাওলা ছোটবেলা থেকেই বৈমানিক হতে চেয়েছিলো। সে নেশায় ছুটেছে সারা জীবন। পাঞ্জাব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছে। তারপর আমেরিকায় পাড়ি জমায়। আমেরিকার দুইটা ইউনিভার্সিটিতে সে পড়াশুনা ও গবেষণা করে।
ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো থেকে পিএইচডি শেষে নাসার (NASA) প্রজেক্টের সাথে সম্পৃক্ত হয়। সেখানে অসামান্য প্রতিভা দেখায়। নাসার স্পেইস মিশনে অংশগ্রহণের সুযোগ হয়। তাদের প্রথম মিশন সফল ছিলো। দুর্ভাগ্য যে দ্বিতীয় মিশন ব্যার্থ হয়। কল্পনা চাওলা সহ আরো ছয়জন সেই মিশনে প্রাণ হারায়।
আজ থেকে উনিশ বছর আগে, ২০০৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারী, মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে কল্পনার জীবনের অবসান হয়। কল্পনা হয়তো অবধারিত মৃত্যুর কাছে হেরেছে, কিন্তু ইচ্ছের কাছে হারেনি এতটুকু। প্রথম ভারতীয়-আমেরিকান হিসেবে মহাকাশ ভ্রমণ করেন।
কল্পনা চাওলা অমরত্ব অর্জন করেছে তার ইচ্ছেশক্তির প্রবলতায়। কল্পনা হয়তো জানেনি, তাদের মতো মানুষদের জন্যই কবি নজরুল লিখেছিলেন, “যৌবন দেখিয়াছি তাহাদের মাঝে—যাহারা বৈমানিকরূপে অনন্ত আকাশের সীমা খুঁজিতে গিয়া প্রাণ হারায়, আবিষ্কারকরূপে নব-পৃথিবীর সন্ধানে গিয়া আর ফিরে না”।
রেসপেক্ট!
......................
@Rauful Alam