বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিম সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু কেমন আছেন আপনারা সবাই আশা করি মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান রব্বুল আলামীনের অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি আপনার সাথে কথা বলবো আজকে কথা বলব,
চারটি শর্তে জামাতে নামাজ পড়া আবশ্যক
জামাতে গিয়ে নামাজ পড়ার গুরুত্ব এবং ফজিলত অনেক বেশি, জামাতে নামাজ পড়ার জন্য পবিত্র কোরআন শরীফে অনেক দিক নির্দেশনা রয়েছে,
এজন্যই অনেকে জামাতে নামাজ পড়াকে ওয়াজিব বলে থাকে, আবার অনেকে জামাতে নামাজ পড়াকে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলে থাকে,
তবে জামাতে নামাজ পড়ার জন্য চারটি শর্ত প্রযোজ্য রয়েছে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই চারটি শর্ত কি?
মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআন শরীফে নামাজ পড়ার জন্য এভাবেই তাগিদ দিয়েছিলেন
وَ ارۡکَعُوۡا مَعَ الرّٰکِعِیۡنَ
আর রোগীর সঙ্গে জামাতে একসঙ্গে রূপকার ও সূরা বাকারা আয়াত নাম্বার 43
জামাতে নামাজ পড়ার ব্যাপারে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম ঘোষণা করেছিলেন,
1 অর্থাৎ পুরুষদের ক্ষেত্রে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা, এবং ওয়াজিবের সমতুল্য।
2 কোন ওজর বা অপরাগতা ছাড়া জামাতে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকা কোনো বৈধ কাজ নয়, যে ব্যক্তি জামায়াত ত্যাগের অভ্যস্ত হয়ে যায় সে ব্যক্তি গুনাগার।
জামাতে নামাজ পড়ার ৪ শর্ত
১ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির উপর নামাজ পড়া জায়েজ হয়ে গিয়েছে সে ব্যক্তি কে অবশ্যই জামাতে নামাজ পড়তে হবে আর যারা অপ্রাপ্তবয়স্ক তাদেরকে নাম জামাতে নামাজ পড়া আবশ্যক বলে ঘোষণা করেন নি।
২ জামাতে নামাজ পড়া পুরুষের জন্য আবশ্যক মহিলাদের জন্য আবশ্যক নয়।
৩ সুস্থ সবল একজন ব্যক্তি সুস্থ মস্তিস্কের অধিকারী একজন জ্ঞানী ব্যক্তি জামাতে নামাজ পড়া আবশ্যক পাগল অজ্ঞান ব্যক্তি এবং মাতাল ব্যক্তি জামাতে নামাজ পড়ার জন্য আবশ্যক নয়।
৪ যেসব ওজর-আপত্তি জন্য জামাত ছেড়ে দেওয়ার আবশ্যকতা রয়েছে সে সকল ওজর-আপত্তি না থাকা।
ওজর গুলো হল
১ প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি থাকলে
২ প্রচুর পরিমাণে শীত পড়লে
৩ প্রচুর পরিমাণে অন্ধকার হলে
৪ মসজিদে যাওয়ার পথে প্রচুর পরিমাণে কাদা এবং অনেক দূরে হলে।
৫ প্রচুর পরিমানে ঝড় উঠলে
৬ মসজিদে হেঁটে যেতে না পাওয়ার মতো শক্তি শরীরে না থাকলে
৭ দৃষ্টিহীন কে সাহায্য করার মত কোন ব্যক্তি না থাকলে
এসকল ওজন যদি থাকে তাহলে আপনি জামাতে নামাজ পড়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন আমি আশা করব প্রত্যেক মুসলমান উম্মত অবশ্যই জামাতে নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুক মহান রাব্বুল আলামিন এই ছিল আমার আজকের বিষয় আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটা ঘুরে দেখবেন সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম আবার অন্য যেকোন বিষয় নিয়ে হাজির হয়ে যাবো আপনাদের সামনে সে পর্যন্ত আল্লাহ হাফেজ আসসালামুয়ালাইকুম রাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু।