''বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম''
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু.
সবাই কেমন আছেন। আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি। তিনি যেন আপনাদের সকলকে সুস্থ ও শান্তি দান করে। এবং কি আমি দোয়া করি আল্লাহ তায়ালার কাছে আপনার পরিবারের সকলকে সুস্থতা ও শান্তি দান করার জন্য। তাই আমরা আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখি। সকলের পরিবারকে সুস্থ ও শান্তিতে রাখবেন আল্লাহ তাআলা।
আমি আর মোঙ্গল একটা গাড়িতে কাটুন উঠাইতেছি আপনারা দেখতে পারছেন এই ছবিতে।আমাদের সাথে আরো দুইজন কাজ করতেছে একজনের, নাম হেলাল আরেকজনের, নাম আদিল। আপনাদের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে এই কার্টুন গুলা কিসের। তাই আমি বলতেছি ভাই আমি একটা ক্যাটারিং কোম্পানিতে কাজ করি। আমাদের কোম্পানিতে প্রতি মাসে চার বার গাড়ি আসেক সবজির গাড়ি। আমি আপনাদেরকে আর একটা ছবি দিচ্ছি যে সবজি কিভাবে আসে কাটুন করা।
এই কার্টুনগুলোতে কি থাকে আমি আপনাদের বলতেছি। আমার কোম্পানি যখন সবজির অর্ডার দেয় মরিচ ১০০ কেজি, টমেটো ২০০ কেজি, ফুলকপি ২০০ কেজি ও পাতাকপি দুইশ কেজি, তারপরে আরো অনেক কিছু আছে যেমন কি বেগুন, কদু, অনেক কিছু এ কার্টুন গুলোতে আসে। কেননা আমাদের বাংলাদেশের মতো এ জায়গায় বস্তা চলে না। তাই এ জায়গায় কাটুন ইউজ হয়।
এই ছবিতে যে আছে তার নাম হল মঙ্গল। মঙ্গলের দেশ হচ্ছে নেপাল। মঙ্গলের কাছে এই গাড়িওয়ালা নাম্বার ছিল। মঙ্গল গাড়িওয়ালা কে বলল ভাই আমাদের কাছে প্রায় 500 কার্টুন আছে। আপনি কি কিনবেন।তখন গাড়িওয়ালা বলল হ্যাঁ ভাই আমি কিনব আমি কখন আসতে হবে আপনাদের এই জায়গায়। তখন আমরা বললাম ভাই আপনি আসার আগে আপনার লাইসেন্স আর আকামার ফটোকপি দেওয়া লাগবে।
আমি আমার আইডি কার্ডের ফটো দিয়ে আপনাদেরকে বুঝাচ্ছি। আমি যে জায়গায় থাকি সে জায়গা হচ্ছে সৌদি আরবের কোম্পানি আরাম কর আন্ডারে। এই জায়গায় ঢুকতে হলেও কোন কোম্পানির রেফারেন্স লাগে কেন ডুকতেছেন আপনি এই জায়গায়। তাই আমাদের কোম্পানি আমাদেরকে আইডি কার্ড বানিয়ে দিয়েছে। তাই আমরা ড্রাইভারকে বলছি ড্রাইভার এর লাইসেন্স ও আকামার ফটো দেওয়ার জন্য। তিনি আমাদেরকে লাইসেন্স ও আকামার ফটো দিয়ে দিয়েছি ইমুতে। তারপরে ড্রাইভারের লাইসেন্স আর আকামার ফটোকপি দিয়ে আমরা একটা পেপার বানালাম। তারপর আমরা সৌদিকে দিয়ে এই গাড়িটা ভিতরে নিয়ে আসলাম আমাদেরকে ক্যাম্পের।
আপনাদের কাছে প্রশ্ন জাগতে পারে ৫০০ কাটানোর জন্য চারজন মানুষ লাগেনি এই ছোট গাড়িতে। কেননা আমরা জলদি করতেছি আমাদের কাছে টাইম নাই। আমরা ডাইভারকে যে পেপার বানিয়ে দিয়েছি সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত সন্ধ্যাবেলা। এই জায়গায় আপনার পেপারের টাইম যতক্ষণ আপনি টাইমের ভিতরে ঢুকতে হবে এবং কি বাইর হতে হবে। ডাইভার আসতে সন্ধ্যা ছয়টা বাজিয়ে ফেলেছে এই জন্য আমাদের টাইম শর্ট। তাই আমাদের পক্ষে যত দ্রুত সম্ভব আমরা গাড়িটা লোড করে বাইরে পাঠিয়েছি। আমরা যখন এক জায়গায় আসে বসি সন্ধ্যাবেলা তখন থেকে সূর্যটা অস্ত যায়।
তাই আমি মনে করলাম যে এই সুন্দর দৃশ্যটা মিস করা যাবে না আমার পক্ষে সম্ভব না। তাই আমি আমার মোবাইলে এই ছবিটা তুললাম ও আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম এই সুন্দর দৃশ্য ছবিটা প্রকৃতির। আশা করি আপনাদের কাছে এই প্রকৃতির দৃশ্যটা অনেক ভালো লাগবে। ভাই ভুল মানুষের হয় যদি আমার কিছু এ জায়গায় ভুল থেকে থাকে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি আমি।