ইমত চলাকালীন বিশেষ বিধানুযায়ী স্ত্রীদের জীবনযাপন করতে হয়, তখন সাধা-গোলসহ বিবাহ প্রস্তাব করা বৈধ নয়। মহান আল্লাহর বাণী- আয়াতে
Sorsce
স্বামীর মৃত্যুজনিত কারণে মহিলার ইদত পালনকালীন সময়ে মহিলার জন্য সাজ-গোজ করা, রঙিন কাপড় পরিধান করা, বিবাহ করা এমনকি বিবাহের প্রস্তাব গ্রহণ বা প্রদান কোনোটিই জায়েয নেই। এক্ষেত্রে ইসলামের বিধান অকাট্য। উদ্দীপকে তাসলিমার স্বামী আহমদ মিয়া ঢাকা থেকে ফেনী আসার পথে
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়। সে বিধবা ও সম্পদশালী হওয়ায় অনেকেই তার স্বামীর মৃত্যুর সাথে সাথে তার কাছে বিবাহের প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু হয়েছে। তাদের এ প্রস্তাবগুলো শরিয়ত মোতাবেক নয়। কারণ দ্বামী মারা গেলেন মহিলাদের চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করতে হয়। আল্লাহ তাআলা নিষিদ্ধ। ইরশাদ করেন— ১৮-২;49LAli, Easy, LIF এক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে আল্লাহ ভাষানার বাণী- অথচ তারা ইদ্দতের মধ্যে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছে তাই তাদের প্রস্তাব ify হয়েছে। কারণ চার মাস দশ দিন অতিবাহিত
হওয়ার পূর্বে মহিলার বিবাহ সম্পর্কে আলোচনা করা জায়েয নেই। তাসলিমার কর্মকাণ্ড ও বিবাহের সিদ্ধান্তে তার পদক্ষেপ শরিয়তসম্মত হওয়ায় তা আমি সমর্থন করি।
মহান আল্লাহর বাণী— | AM আয়াতে স্বামীর মৃত্যুজনিত কারণে মহিলার ইন্দত নির্ধারণ করা হয়েছে, চার মাস দশ দিন। আর ইদত পালনকালীন সময়ে মহিলার জন্য সাজ-গোজ করা, রঙিন কাপড় পরিধান করা, বিবাহ করা এমনকি বিবাহের প্রস্তাব গ্রহণ বা প্রদান কোনোটিই লায়েয নেই
উদ্দীপকে যখন তাসলিমার স্বামী মারা গেল, তখন অনেকেই তাসলিমাকে বিবাহের জন্য প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাসলিমা বলল, চার মাস দশ দিন পর জানাবে। এক্ষেত্রে তাসলিমার কথাই সঠিক। কারণ কুরআনে বলা হয়েছে, স্বামী মারা গেলে চারমাস দশ দিনের পূর্বে বিবাহ করা যায় না। মহান আল্লাহ বলেন— ১-4549 F৩২,
MAAAAB ASI, অর্থাৎ, তোমাদের মধ্য থেকে যারা তাদের সীদের রেখে মৃত্যুবরণ করেছে, তারা (শ্রীগণ) তাদের নিজেদেরকে তার মাস দশ দিন প্রতীক্ষায় রাখবে। অতঃপর যখন তারা তাদের ইন্দত পূর্ণ করবে, তখন তারা নিজেদের জন্য বিধিমতো যা করবে, তাতে তোমাদের কোনো গুনাহ নেই। আর তোমরা যা কিছু করছ, আল্লাহ তা খুব ভালোভাবে অবগত।
পরিশেষে বলা যায়, ইন্দত চলাকালীন বিবাহ করা বৈধ নয়। আর তাসলিমা ঠিক সে কাজটিই করেছেন, আমি তার মতকে যথাযথভাবে
১১১৭ জাকিয়া ঋতুকালীন সময়ের করণীয় সম্পর্কে জানতো না। সে স্বামীর কাছে জানতে চাইল, এ সময় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি- তন্মধ্যে একটি জায়েযের পক্ষে। না। প্রশ্নের উত্তর পেতে তার স্বামী 'আসান ফিকহ' নামক বইটি পড়ার মর্শ দিলেন। স্বামীর পরামর্শে সে বইটি পড়তে লাগল। তার জিজ্ঞাসার শরিয়তসম্মত সকল জবাব পেতে লাগল। বইটিতে সংযুক্ত আল কুরআনের নিচের আয়াতের আলোকে বিবৃত মাসআলাসমূহ জেনে নিল ويشتغلونك عن التجيش ، فن هو اذی فاعتزلوا النساء في
التجيي. ولا تقربوهن حتى يظهرت فإذا تظهرن فاكرني من حيث أمركم الله إن الله يحب التوابين ويحب المتطهرين
মায়েযাবস্থায় স্ত্রী সহবাসের বিধান বর্ণনা করো।
GUSCLE; আয়াত থেকে তাসলিমার শিক্ষণীয় বিষয়গুলো কী? ব্যাখ্যা দাও।
ঘ. কুরআন তেলাওয়াত বিষয়ে জাকিয়ার করণীয় ইমামদের মতভেদসহ বিশ্লেষণ করো।
১১ নং প্রশ্নের উত্তর
অর্থ ঋতুস্রাব।
হায়েয একটি কষ্টদায়ক বিষয়। ইসলামে হায়েযাবস্থায় স্ত্রী সহবাস নিষিদ্ধ। পবিত্র কুরআনে হায়েযকে কষ্টদায়ক বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করে। এ সময় তাদের সহবাস করা থেকে দূরে থাকতে এবং পবিত্র হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা
হায়েয একটি কষ্টদায়ক বিষয় তাই হায়েযাবস্থায় স্ত্রী সহবাস মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত, মানুষকে নারী-পুরুষ উভয় সম্প্রদায়ে সৃষ্টি
করা হয়েছে। সৃষ্টির ক্ষেত্রে নারী পুরুষের রয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট্য। Jus | নারীর আলাদা বৈশিষ্ট্যেরই বহিঃপ্রকাশ। আল্লামা আবুল হাসান কুদুরি (র.) বলেন- esh Times এ সময় যৌনসলাম করা হারাম।
উদ্দীপকে তাসলিমা প্রথম জীবনে ঋতুস্রাব সম্পর্কে কিছুই জানতো না, কিন্তু স্বামীর পরামর্শে আসান ফিকহ' বই থেকে তাসলিমা শিক্ষা নিল। বইটিতে সংযুক্ত আয়াত— ASE থেকে
| তাসলিমা যা শিক্ষা পেলো তা হলো ১. হায়েয একটি কষ্টদায়ক বিষয়।
২. কালীন মহিলাদের সাথে সহবাস নিষি ৩. মহান আল্লাহর হুকুম পালন করা আবশ্যক।
৪. মহান আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন।
৫. মহান আল্লাহ পরিচ্ছন্নতা প্রিয়দেরকে পছন্দ করেন।
ঋতুমতী মহিলার পক্ষে কুরআন তেলাওয়াত জায়েয নেই। সৃষ্টির ক্ষেত্রে নারী পুরুষের রয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট্য। ১৩১ অবস্থায়
কুরআন তেলাওয়াত সম্পর্কে রসুল (স) বলেন— لالفة الخايس العلب شيئا من القران
| উদ্দীপকে ঋতুমতী নারীর করণীয় সম্পর্কে ফুটে উঠেছে। ঋতুমতী নারীর জন্য কুরআন তেলাওয়াত বৈধ কি-না, এ সম্পর্কে জাকিয়ার স্বামী তাকে ‘আসান ফিকহ' নামের বইটি পড়ার পরামর্শ দেন। তবে ঋতুমতীর জন্য কুরআন তেলাওয়াত সম্পর্কে ইমামদের মতভেদ রয়েছে, সে প্রেক্ষিতে আলেমদের অভিমত হলো
১. ইমাম বুখারি, ইবনে মুনযির ও যাহেরি (র)-এর মতে, হায়েয অবস্থায় কুরআন স্পর্শ না করে তেলাওয়াত করা জায়েয। তাদের দলিল হচ্ছে
عن عائشة قالت كان النبي (ص) يـل كـ الله على كل أخيانه ২. ইমাম মালেক (র) থেকে এ ব্যাপারে দুটি অভিমত পাওয়া যায়।
৩. অধিকাংশ সাহাবি, ইমাম আবু হানিফা, শাফেয়ি, আহমদ এবং তাবেয়িদের মতে, হায়েয সম্পন্না নারীর কুরআন তেলাওয়াত জায়েয নেই। কোনো আয়াতের শব্দ বিশেষ পাঠ করা জায়েয। হাদিসে রয়েছে-- ASIF()
فينا من fa ، الحائض ولا الجلب شيئا من القران . g/s£I উক্তি দ্বারা সুরা কিংবা আয়াত উদ্দেশ্য। শব্দ কিংবা হরফ
নয়।
- ইমাম আবু হানিফার আরেকটি মত হলো, দোআ ও বরকত হাসিলের উদ্দেশ্যে মুখস্থ তেলাওয়াতে কুরআন জায়েয। পরিশেষে বলা যায়, ঋতুকলীন অবস্থায় GET সাওয়াবের নিয়তে তেলাওয়াত করা যাবে না। তবে মাসনুন দোয়া হিসেবেও কথা প্রসে প্রয়োজন পরিমাণ বলতে অসুবিধা নেই।
ভাই আপনি tomoyanকে ডেলিগেশন করেছেন তো আপনাকে কি ভোট দিচ্ছে না.?
Hum Vai Ami delegation korci kintu amake vote dissce nah
** Your post has been upvoted (5.95 %) **
Curation Trail Registration is Open!
Curation Trail Here
Delegate more BP for better Upvote + Daily BLURT 😉
Delegate BP Here
Thank you 🙂 @tomoyan
https://blurtblock.herokuapp.com/blurt/upvote