ইবরাহিম (আ) ইহুদি কিংবা খ্রিস্টান ছিলেন না; বরং তিনি একনিষ্ঠ মুসলিম ছিলেন এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুরও ছিলেন না। পরিশেষে বলা যায়, তিন জনের মধ্যে যায়েদ সঠিক ব্যক্তি। ঝারণ সে হজরত ইবরাহিম (আ)-কে মুসলমান বলেছে এবং এ কথার সমর্থনে
Sorsce
মহাগ্রন্থ আল কুরআনের আয়াতও রয়েছে
খতিৰ সাহেব জুমার বক্তৃতায় বললেন, মানুষ একমাত্র আল্লাহ তাহাদার বান্দা। সে একমাত্র তাঁরই ইবাদত করবে। সে অন্য কোনো মানুষের বান্দা নয় যে, শর্তহীনভাবে তার কথা মেনে নেবে। তাই আলেম-ওলামা, পির-মাশায়েখের উচিত জনগণকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা। আমাদেরকে আল্লাহওয়ালা হতে হবে, আল্লাহ নয়। অতঃপর তিনি
তেলাওয়াত করলেন
Dikg singling acults plach sobu
. উদ্দীপকে বর্ণিত আয়াতটি বঙ্গানুবাদ করো। গ. তিব সাহেবের বক্তব্যের সাথে তার তেলাওয়াতকৃত আয়াতের মিল দেখাও
N. খতিব সাহেবের বক্তব্য আমাদেরকে আল্লাহওয়ালা হতে হবে, আল্লাহ নয়' এর আলোকে আল্লাহওয়ালা হওয়া ও আল্লাহ হওয়ার মধ্যে পার্থক্য বিশ্লেষণ করো।
নিজেদেরকে মাবুদ বলে প্রচার করতে পারে না। নবি বা জ্ঞানীগণ শুধু আল্লাহর ইবাদতের প্রতি মানুষকে ডাকেন। অন্য কারও ইবাদত করার মুসলিম জাতির পিতা ছিলেন হলরত ইবরাহিম (আ)। তিনি ইহুদি প্রতি এমনকি নিজের ইবাদত তথা নিজের আনুগত্য ও অনুসরণের ছিলেন না, আবার খ্রিস্টানও ছিলেন না। তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম প্রতিও আহ্বান করেন না। অর্থাৎ জ্ঞানীগণ কখনো একথা বলেন না, তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে আমার ইবাদত করো। প্রদত্ত উদ্দীপকে খতিব সাহেব তার বক্তব্যে মানুষকে আল্লাহভীরুতা অবলম্বন করার তাগিদ প্রদানস্বরূপ বলেছেন, আমাদের একমাত্র পালনকর্তা হলেন আল্লাহ তাআলা। আমরা শুধু তাঁরই ইবাদত করব। অন্য কারও ইবাদত করব না। জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে আল্লাহ ও তাঁর রসুলের কথা ছাড়া অন্য কারও কথা মানা যাবে না। মানুষকে এমন জ্ঞানে দীক্ষিত করার ব্যাপারে আমাদের আলেম-ওলামা ও পির মাশায়েখকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তবে দৃষ্টি রাখতে হবে, সাধারণ মানুষ যাতে তাদেরকে মহানবি (স)-এর উত্তরসূরি হিসেবে খোদা মনে করে তাদের পূজায় লিপ্ত না হয়। এজন্যই খতিব সাহেব বলেছেন, আমরা আল্লাহওয়ালা হবো, আল্লাহ হবো না। অতঃপর তিনি বক্তব্যের স্বপক্ষে তেলাওয়াত করলেন autofar
এবং দ্বীন ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসারী।
আয়াতের অনুবাদ : কোনো মানুষের জন্য শোভনীয় নয় যে, আল্লাহ তাকে কিতাৰ, হিকমত ও নবুওয়াত প্রদান করবেন। অতঃপর সে মানুষকে বলবে, তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে আমার গোলাম হয়ে যাও, বরং সে বলবে, তোমরা আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও। যেহেতু তোমাদেরকে কিতার শিক্ষা দিচ্ছে এবং তোমরা নিজেরাও তা অধ্যয়ন করছ।
খতিব সাহেবের বক্তব্যের সাথে তার তেলাওয়াতকৃত আয়াতের ভাৰাৰ্থ সাদৃশ্যপূর্ণ। কোনো নবি বা জ্ঞানী ব্যক্তি মাবুদ তথা প্রভু হতে পারে না এবং তারা
باس گولوا عباد لي من دون الله ولكن كونوا ربانيين সুতরাং প্রতীয়মান হয়, খতিব সাহেবের বক্তব্যের সাথে তেলাওয়াতকৃত
আয়াতের ভাবার্থ সাদৃশ্যপূর্ণ। উদ্দীপকের প্রতি লক্ষ করলে দেখা যায়, খতিব সাহেব তার জুমার
বক্তৃতার সমাপ্তি লগ্নে বলেছেন, আমাদেরকে আল্লাহওয়ালা হতে হবে, আল্লাহ্ নয়। তার বক্তব্যে ব্যবহৃত বাক্য দুটিতে যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান। আল্লাহওয়ালা হওয়া মানে আল্লাহর প্রিয়পাত্র হওয়া, আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা এবং আল্লাহর বন্ধু হওয়া আর আল্লাহ হওয়া মানে হলো মানুষকে গোলাম বানানো। অর্থাৎ নিজেই আল্লাহর আসন গ্রহণ করে। অপরকে গোলামি করানো, যা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং আমরা ব্যক্তিগজীবনে আল্লাহওয়ালা হয়ে জীবন পরিচালনা করে অন্যকে সেভাবে করব। প্রদত্ত উদ্দীপকে খতিব সাহেব বলেছেন, আল্লাহ আআলা মানুষদেরকে আল্লাহওয়ালা হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। বিশেষ করে আলেম সম্প্রদায় যারা মানুষকে দ্বীন শিক্ষা দেন, তারা যেন সম্পূর্ণ আল্লাহওয়ালা হয়। তাদের থেকে শিখতে এসে মুরিদগণ যেন তাদেরকেই প্রভু বা আল্লাহ না বানিয়ে ফেলে। কেননা, আল্লাহওয়ালা হওয়া ফরজ এবং আল্লাহ হওয়া শিরক ও হারাম। যেমন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন
** Your post has been upvoted (5.85 %) **
Curation Trail Registration is Open!
Curation Trail Here
Delegate more BP for better Upvote + Daily BLURT 😉
Delegate BP Here
Thank you 🙂 @tomoyan
https://blurtblock.herokuapp.com/blurt/upvote