আয়াতে মুনাফিকদের গোমরাহির স্বরূপ উন্মোচন করা হয়েছে।
মহান আল্লাহর বাণী- Gaysty অর্থাৎ তারা বধির, বোনা এবং অন্ধ। সুতরাং তারা প্রত্যাবর্তন করবে না। ইবনে কাসির (র) আর আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন যে, যারা হিদায়াতের বিনিময়ে পথভ্রষ্টতা ক্রয় করেছে, আল্লাহ তাআলা তাদের অবস্থা প্রকাশের জন্য এ উপম্য প্রদান করেছেন। তারা যেন দৃষ্টিশক্তির বিনিময়ে অন্যত্ব ক্রয় করল। যেমন, এক ব্যক্তি আগুন জ্বালিয়ে তার চতুর্দিকের সহযোগিতা করব।। সবকিছু আলোকিত করে তা দেখছিল। তারপর হঠাৎ তার সে আগুন নিতে গেল। ফলে সে যেন আরও বেশি অন্ধকারে নিপতিত হলো। এখন সে আর কিছুই দেখতে পায় না, পথও চলতে পারে না। এ অবস্থায় সে যেন বোবা, বধির ও অন্ধের মতো হয়ে গেছে। সে তার বাড়িতে ফিরে যেতে পারছে না। ঠিক এ অবস্থা মুনাফিকদেরও।
Sorsce
মানুষের চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। মুনাফিকরা দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করে। তারা আত্মপ্রতারিত নিকৃষ্ট ও সত্য ন্যায় হারা। তারা মুখে যা বলে, কালে তার বিপরীত করে। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে।
উদ্দীপকে লক্ষ করা যায়, শরিফ একজন স্বর্ণের দোকানদার। একদা অনৈক পতিফা তার দোকান থেকে একটি স্বর্গের হার ক্রয় করে বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হলো। উক্ত মহিলার স্বামী শরিফকে এ ঘটনা জানালে সে বলে, ব্যবসায় ক্ষেত্রে এ ধরনের কারবার কোনো দোষের নয় শরিফের উক্ত কাজটি শরিয়তের দৃষ্টিতে মুনামিক শ্রেণির মানুষের চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে শরিফের উক্ত কাজটি হারাম। কেননা, কুরআনে এসেছে
SAASAJIR July&ding 15 করে শরিয়তের একটি ফরজ বিধান পালন করেছেন। অর্থাৎ তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনেশুনে তোমরা সত্যকে গোপন করো না। সুতরাং শরিফ উক্ত মহিলার সাথে প্রতারণা করায় মুনাফিকদের অন্তর্ভুক্ত হলো। ফলে তার চরিত্রের সাথে মুনাফিকদের চরিত্রের সাদৃশ্য বিদ্যমান।
আমি মাও. আ. রশিদের বক্তব্যের সাথে একমত।
ইসলাম একমাত্র আল্লাহর মনোনীত জীবনবিধান। মানবজীবনের সকল বিষয়ের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ এতে নিহিত রয়েছে। সকল ক্ষেত্রে সততার আশ্রয় নিতে ইসলাম উৎসাহিত করেছে এবং প্রতারণার আশ্রয় নিতে নিরুৎসাহিত করেছে।
উদ্দীপকে লক্ষ করা যায়, মাও. আ. রশিদ শরিফ নামের এক স্বর্ণ দোকানদারকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলল, ব্যবসার ক্ষেত্রে কেন, জীবন পরিক্রমার কোনো ক্ষেত্রেই এ ধরনের কর্ম কাম্য নয়। কেননা, মুসলমানের প্রতিটি কর্মে সততা থাকতে হবে এবং অসততা প্রতারণার আশ্রয় থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
মানুষের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, জাতীয়, আন্তর্জাতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, আধ্যাত্মিকসহ বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। অনেকগুলো দিক রয়েছে। একজন মুমিন ব্যক্তি কখনো এবং কোনো অবস্থায়ই এর কোনো ক্ষেত্রে প্রতারণা করতে পারে না। ইসলামে মিথ্যা প্রতারণা কঠিনভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ পৃথিবীতে তাঁর খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ সৃষ্টি করে তাদের এমনি ছেড়ে দেননি। একজন মানুষের বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি হবেন মুমিন এবং সৎ, তিনি হবেন নবিদের যোগ্য উত্তরসূরী। কাজেই কোনো ক্ষেত্রেই প্রতারণার সুযোগ নেই।
পরিশেষে বলা যায়, মাও. আ. রশিসের বক্তব্য কুরআন-সুন্নাহসম্মত বিষায় আমি তাঁর বস্তুবাকে সম্পূর্ণ গ্রহণ করি।
প্রশ্ন ১৫ কতিপয় যুবক দৌলতগঞ্জ আলিয়া মাদরাসার পাশে যাত্রাগানের আয়োজন করে। এ খবর শুনে মাদরাসার সকল শিক্ষক মাতব্বর হাতেম আলীকে জানায় এবং যাত্রাগান বন্ধের পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেন। মাতব্বর সাহেব শিক্ষকদেরকে এটা বন্ধের আশ্বাস দেন। এদিকে অনুষ্ঠান আয়োজকেরা তার কাছে সহযোগিতা চাইলে তিনি বলেন, তোমরা কাজ চালিয়ে যাও, তোমাদেরকে সব ধরনের
ক. Sylhasand) -এর অর্থ লেখো।
Bad, আয়াতাংশের ব্যাখ্যা লেখো। গ. মাদরাসার শিক্ষকরা শরিয়তের কোন বিধান পালন করেছেন?
আল কুরআনের আলোকে বর্ণনা করো। ঘ. এলাকার মাতব্বর হাতেম আলীর কর্মের পরিচিতি তোমার পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ করো। 8
১৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ফGALcdhakad,j-এর অর্থ 'আর তারাই সফলকাম'।
আয়াতাংশে মহান আল্লাহ মুনাফিকদের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরেছেন। আয়াতাংশের অর্থ হলো, এরাই সৎপথের বিনিময়ে পথভ্রষ্টতা ক্রয় করেছে। মুনাফিকরা সর্বান্তঝকরণে কাফির ছিল। কিন্তু নিরাপত্তা ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা লাভের জন্য তারা শুধু মুখে মুখে নিজেদের মুসলমান বলে পরিচয় দিত। মূলত তারা হিদায়াতের বিনিময়ে পথভ্রষ্টতা গ্রহণ করেছে। তাই আল্লাহ বলেছেন, তারা হিদায়াতের বিনিময়ে গোমরাহি কিনে নিয়েছে।
মাদরাসার শিক্ষকগণ,audigal বা অসৎ কাজের বিরোধিতা
দোকানদার শরিফের কাজটি শরিয়তের দৃষ্টিতে মুনাফিক শ্রেণির
সৎকাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ করা, গোটা মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অবশ্য কর্তবা। সামর্থ্যা ও সাধ্য অনুযায়ী এ কাজ করা সকলের জন্য আবশ্যক। যদি এই হুকুম পালন না করার দরুন সমাজে খারাপ কাজের
প্রসার হয়, তাতে সমাজের সবাই পাপী বলে গণ্য হবে।
উদ্দীপকে কতিপয় যুবক মাদরাসার পাশে যাত্রাগানের আয়োজন করে। এ খবর শুনে মাদরাসার শিক্ষকগণ যাত্রাগান বন্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ করে। শিক্ষকদের এ ঝাজটি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান পালনের বহিঃপ্রকাশ। আর এই বিধান হলো, সৎকাজের আদেশ এবং অসং কাজের নিষেধ বা বাধা প্রদান করা। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন- yF6ysc
এই বিষয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করে রসুল (স) বলেছেন, যার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর শপথ করে বলছি, অবশ্যই তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দিবে এবং অন্যায় ও পাপ কাজ হতে লোকদের বিরত রাখবে। সুতরাং
যাত্রাগানে বাধা দিয়ে মাদরাসার শিক্ষকগণ ফরজ কাজ আদায় করেছেন। মেঘ উদ্দীপকে মাতব্বর হাতেম আলীর কর্মে মুনাফিক চরিত্রের
মুনাফিকেরা দ্বিমুখী চরিত্রের অধিকারী। তারা মুখে যা বলে, কালে তার বিপরীত করে। তারা স্বজাতির সাথে যখন মিলিত হয় তখন বলে, আমরা তো তোমাদের সাথে আছি, আবার যখন মুমিনদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে, তোমাদের সাথেই আছি।
আলোচ্য উদ্দীপকে এলাকার মাতব্বর হাতেম আলী মাদরাসা শিক্ষকদেরকে যাত্রাগান বন্ধের আশ্বাস দেন। অপরদিকে, যাত্রাগান আয়োজকদেরকে তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তার এই ঝাজটি দ্বিমুখী নীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। যার সাথে আমাদের পাঠ্যবইয়ের মুনাফিক চরিত্রের মথেন্ট মিল পরিলক্ষিত হয়। মিথ্যা, প্রতারণা ও দ্বিমুখী নীতি মুনাফিকি চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মুনাফিকরা