একদা আজমীর সাহেব একটি ফ্রিজ কিনতে গিয়ে ধোঁকা | খেলেন। বিদেশি বলে তাকে একই নামে একটি ফ্রি দেওয়া হলো। তিনি ঘটনাটি মসজিদের ইমাম সাহেবকে জানালে, ইমাম সাহেব ধোঁকাবাজির কুফল সম্পর্কে জুমার বয়ানে আলোচনা করলেন। তিনি বললেন, যারা ধোঁকাবাজ, তারা মূলত আত্মপ্রতারিত, তাদের অন্তর রোগগ্রস্ত হওয়ায় তারা তা টের পায় না। অন্তরের রোগ তাদেরকে
Sorsce
হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করেছে। হিগাহ কী?
Log এর ব্যাখ্যা করো। গ. ইমাম সাহেবের বক্তব্য নবি যুগের কোন
চরিত্রের সাথে সামজস্যশীল? কুরআনের আলোকে তাদের চরিত্র ব্যাখ্যা করো। ঘ. ইমাম সাহেবের সর্বশেষ মন্তব্যটি কুরআন-হাদিসের আলোকে
মূল্যায়ন করো। ১৯ নং প্রশ্নের উত্তর
এর ছ
আয়াতে মহান আল্লাহপ্রদত্ত জীবিকা থেকে আল্লাহর পথে ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে।
মহান আল্লাহর বাণী অর্থ- আর আমি তাদেরকে যে জীবিকা দান করেছি, তা থেকে ব্যয় করে। আয়াতে বলে ফর দান তথ্য জাকাতকে বোঝানো হয়েছে। অবশ্য কোনো কোনো আলেম এখানে ফরল ও নক্ষন উভয় প্রকার দানকে উদ্দেশ্য করেছেন।
ইমাম সাহেবের বক্তব্য নবি যুগের মুনাফিকদের চরিত্রের সাথে মুনাফিকরা রসুল (স)-এর যুগে নিজেদেরকে চতুর মনে করে।
সাদৃশ্যপূর্ণ।
মুসলমানদেরকে ধোকা দিত। তাদের প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন -
naldeshgaligitalbag অর্থাৎ, তারা আল্লাহ ও মুমিনদের ধোঁকা দিচ্ছে। আয়াতের মর্ম হলো- ধোঁকাবাজ মুনাফিকরা অমূলক চিন্তা করে যে, আল্লাহ ও মুমিনগণ তাদের মুনাফেকি বা দ্বিমুখী নীতির খবর আনেন। না। তাই তারা মনে করছে, তারা আল্লাহ ও মুসলমানগণকে ধোঁকা নিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে তারা নিজেরাই নিজেদের ধোঁকা দিচ্ছে। তাদের জন্য কিয়ামত দিবসে কঠোর শাস্তি রয়েছে, তারা তা বুঝছে না।
প্রদত উদ্দীপকে আজমীর সাহেবের ফ্রিজ ক্রয়ে প্রতারণার শিকার হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ইমাম সাহেব বর্তমান যুগের ধোঁকাবাজ ব্যবসায়ী ও অন্যান্য ধোঁকাবাজদের সম্পর্কে জুমার ভাষণে বলেন, এ সকল ধোঁকাবাজ মূলত আত্মপ্রতারিত। অথচ তারা তা বুঝতে পারছে না। এ সকল লোকদের সাথে নবি যুগের মুনাফিকদের সাদৃশ্য বিদ্যমান। কুরআনের আলোকে প্রতারণাকারীদের মন্দ চরিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়- ১. মুনাদিকরা মুখে বলে আমরা ইমানদার, অথচ তারা মুমিন নয়। আল্লাহ বলেন
অন্য দিকে যাদিসে তাদের তিনটি চিহ্ন উল্লেখ করা হয়েছে। মিথ্যা বলা, ওয়ানা ভঙ্গ করা এবং আমানতের খিয়ানত করা। সুতরাং এ সকল ধোঁকাবাজ মুনাফিকদের চরিত্র হলো, মাকাল ফলের ন্যায়, তারা বাইরে দেখতে এক আর অভ্যন্তরে ভিন্নরূপের। তাই
মুনাফিকদের প্রতারণা থেকে সকল ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা আবশ্যক। ইমাম সাহেবের সর্বশেষ মন্তবাটি কুরআন হাদিসের আলোকে সঠিক
মুনাফিকরা মহান আল্লাহ, তাঁর রসুল এবং মুসলমানদের সাথে প্রতারণা করে থাকে। মুনাফিকদের অন্তরে নিফাকের ব্যাধি রয়েছে। এ ব্যাধির
8
অনুশীলনী ও বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নের অনুরূপ এ প্রশ্নগুলো সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে জা করো। তাহলে এ অধ্যায়ের সকল শিখননের ওপর প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।
কারণে হিতাহিত কোনো জ্ঞান তাদের নেই। তারা মিথ্যার আশ্রয় নেয়, প্রতারণা করে। ইহকালে তাদের শান্তি ও নিরাপত্তা নেই। আর পরকালেও তারা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।
প্রদত্ত উদ্দীপকটিতে ইমাম সাহেব ধোঁকাবাজ মুনাফিকদের চরিত্র চিত্রিত করতে গিয়ে মন্তব্য করেন, অন্তরের রোগ তাদের হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করেছে। অনুরূপভাবে মন্তব্যটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মূলত অন্তরের রোগ মুনাফিকদের হিতাহিত জ্ঞানশুনা করে দিয়েছে। কেননা, মানুষের জ্ঞানের আঁধার হলো, তাদের অন্তঃকরণ। আর সেটা যদি রোগগ্রস্ত হয়, তবে সে জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে। অন্তর সুস্থ থাকলেই কেবল শ্রেণির মানুষের তাকে প্রকৃত জ্ঞানী বলা হয়। সহিহ বুখারিতে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে
२
قشة الجند الله الا في القلب
এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- Assass অর্থাৎ, তাদের অস্ত্রার মরীকা পড়েছে। অপর আর আল্লাহ ভure
আরও ইরশাদ করেন– Gaysain sassistand beyall get উপরের আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে, ইমাম সাহেবের মন্তব্যটি কুরআন-হাদিসের আলোকে যথার্থ হয়েছে।
২০ আকরাম ও আরমান সাত্বে বর্তমান সামাজিক যালচাল নিয়ে আলোচনা করছিলেন। আকরাম সাহের আফসোস করে বললেন, আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে, যাদেরকে হাজার বার ইসলামের কথা বললেও কর্ণপাত করে না, এমনকি বিশ্বাসও করতে চায় না। আরমান সাহেব বললেন, তারা অপরাধ করতে করতে এমন অবস্থায় পৌয়েছে যে, তাদের অন্তরে যেন মোহর মেরে দেওয়া হয়েছে। ।
এ মারাতটির ব্যাখ্যা করো।
গ. আকরাম সাহেব কাদের প্রতি ইঙ্গিত করে আফসোস
করেছেন? ব্যাখ্যা পাও ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত আরমান সাহেবের উক্তির যথার্থতা আপ কুরআনের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
২০ নং প্রশ্নের উত্তর
অর্থ: "এটা সেই কিতাব, যাতে কোনো সন্দেহ নেই।
উদ্ধৃত আয়াতটিতে মুনাফিকদের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে।
| অত্র আয়াতে মুনাফিকদের নিফাক হতে ফিরে না আসার কারণ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, তারা বধির, বোবা এবং জন্য। তারা সত্যের | ডাক শুনতে পায় না, সত্য ও মুক্তির বাণী উচ্চারণে অক্ষম, নিজেদের হিতাহিত কর্মকাণ্ড দেখতে পায় না। অতএব, তারা কিছুতেই তাদের পথভ্রষ্টতা হতে ফিরে আসবে না।
চমীণকে বর্ণিত আকরাম সাহেন কুখ্যাত কাফিরদের প্রতি ইঙ্গিত করে
আফসোস করেছেন।
সমাজের কিছু মানুষ আছে যাদেরকে ইসলামের কথা বললে তারা তার প্রতি কর্ণপাত করে না। মহান আল্লাহর নাফরমানি করতে করতে তাদের অবস্থা এমন হয়েছে যে, উত্তম কথা তাদের উপলব্ধি হয়না।
যেমন- রসুলুল্লাহ (স)-এর যুগে আবু লাহাব, আৰু জাহল, খালিদ বিন মুগিরা, উত্তরা, শায়বা যারা কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে তা আল্লাহ তামাদার পূর্ব থেকেই জানা ছিল। এরা সকসেই রসুলুল্লাহ (স) তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে সর্বদা যন্ত্রে শিশু ছিল। এদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা নিচের আয়াত নাজিগ করেন