ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে না এমন লোক খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। আমিও খুবই ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে খুবই পছন্দ করতাম। আমার কিছু বন্ধু ছিল তারাও ঘুরতে খুবই পছন্দ করে। বন্ধুদের চাওয়া-পাওয়ার সাথে মিল থাকলে তাহলে তো কোন কথাই নেই। যেখানে দুচোখ যায় সেখানেই যেতে মন চায় মন শুধু চায় ছুটাছুটি করতে বিভিন্ন জায়গায় অচেনা দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে।
মেলা মানে বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি। এইতো কিছুদিন আগে গ্রামে পুরনো ঐতিহ্যবাহী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবছর এই সময়ে এক মাস ব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। আমি ছোট্ট কাল থেকেই এই ঐতিহ্যবাহী মেলার আসর দেখে আসছি। ছোটবেলায় মেলায় যাওয়ার যে অনুভূতি ছিল সেটা এখন পাওয়া হয় না। মেলায় গেলে সেই ছোট্টবেলার দিনগুলোর কথা মনে পড়ে। এই মেলাতে প্রতিবছরই যাওয়া হয় এবার মেলায় যাওয়ার আগ্রহ ছিল না কিন্তু বন্ধুদের চাপাচাপিতে মেলায় যেতেই হয়েছে। কি আর করার বন্ধুদের কথা তো রাখতে হবে সেজন্য সন্ধ্যার মুহূর্তে মেলার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি।আসলে মেলায় গেলে অতীতের সকল স্মৃতিচারণ হয়ে থাকে।
[Taken my Phone camera]
ছোট্টবেলায় বিভিন্ন রংবেরঙের বেলুন যেগুলোর মধ্যে আপেলের মতো তৈরি এবং লম্ব আকারের তৈরি বেলুন গুলো কেনার জন্য বাবা-মায়ের কাছে আবদার করতাম। অনেক ভালো লাগতো সেগুলো না কিনলে বাবা-মা না কিনে দিলে অনেক কান্নাকাটি করেছি। বাড়িতে নিয়ে আসার পথে অনেকবার ফুটে গিয়েছে তখন এতটাই খারাপ লেগেছিল সত্যিই সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা সবচেয়ে বেস্ট ছিল। আবার কান্নাকাটি শুরু করতাম আমাকে আবার ওই বেলুন কিনে দিতে হবে সেগুলো বাড়িতে নিয়ে এসে ঝুলিয়ে রাখতাম দেখা গেছে ঘুমিয়ে আছি সকালে উঠে দেখি বেলুন ফেটে গেছে। এখন অনেক বড় হয়ে গেছি সেই অনুভূতিটা কাজ করে না। শুধু দেখতে থাকি মেলার দৃশ্যগুলো ছোট্ট বাচ্চাদের এই ধরনের কিছু কিনে দিতে এবং তাদের আকৃষ্ট হওয়ার বিষয়টি এখন আমাকে ভাবায়।ছোটবেলায় যখন বাবার হাত ধরে মেলায় যেতাম।
[Taken my Phone camera]
তখন মেলায় থেকে বাড়ি ফেরার পথে এই ধরনের বিভিন্ন প্রাণীর তৈরি সাচ-মিষ্টি যেগুলো কিনে নিয়ে আসতো। সেগুলো বাড়িতে এসে মুড়ি দিয়ে খেতে খুবই মজা পাইতাম। আমিও এবার মেলা থেকে অনেকগুলো এই ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার কিনে নিয়ে এসেছি। সত্যিই ছোটবেলায় এগুলো খাওয়ার অনুভূতি ছিল এখন আর পাইনা। আমি বাড়িতে নিয়ে আসার পর একবারও খাওয়া হয়নি কিন্তু মেলায় সুন্দর সুন্দর মিষ্টি যেগুলো সত্যি উপভোগ্য হয়ে থাকে। গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী মেলার ধারাবাহিকতা টিকে থাকুক সেটাই কামনা করি। প্রতি বছর যেন এই উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় সেই প্রত্যাশাই করি। আমার কাছে মেলায় গিয়ে অনেক ভালো লেগেছে পরিবেশটা খুবই সুন্দর ছিল ।পরবর্তী দিনে সার্কাসের দেখার অনুভূতি শেয়ার করব। আশা করি আমার মেলা দৃশ্যপট গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।