২০১৩ সালে ব্রাজিলের ক্লাব ছেড়ে বার্সেলোনায় যোগদান করেন বর্তমান ফুটবলের সুপারস্টার নেইমার। তখন সেই দল দলবদলের সময় কর ফাঁকির অভিযোগ তুলে নেইমার সহ আরো ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ব্রাজিলের এক প্রতিষ্ঠান। প্রায় এক যুগ পর সে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নেইমার বর্তমানে পিএসজির হয়ে খেলছেন সামনে ব্যস্ত সময় থাকার কারণে এই মামলার কার্যক্রমটি এগিয়ে আনেন কোট।
নেইমারকে যখন আদালতে ডাকা হয় তখন তার মা-বাবা সহ তিনি আদালতে উপস্থিত হন। প্রায় আড়াই ঘন্টা ছিল এই বিচার কার্যক্রম। অভিযোগ আনা হয় ব্রাজিলের ক্লাব থেকে বার্সেলোনা তে দল বদলের সময় টাকার অংকটা ছিল প্রায় ৮ কোটি ইউরো। কিন্তু অফিসিয়ালি দেখানো হয় এই দল বদলের অংকটা ছিল মাত্র ১ কোটি ৭০ লাখ ইউরো। আর তাই নেইমারের দুই বছরের কারাদণ্ড সহ আরো এক কোটি ইউরো দাবি করা হয় বাদী পক্ষ থেকে। তার পাশাপাশি তখনকার বার্সেলোনার সভাপতির পাঁচ বছরের কাড়াদণ্ড এবং বার্সেলোনা ক্লাবটিকে থেকে ৮৪ লাখ জরিমানা চায় তারা।
বরাবরের মতোই নেইমার সহ বাকি সব অভিযুক্তরা অস্বীকার করেছেন সব অভিযোগ। নেইমার বলেন আমি কখনোই এইসব বিষয়ে তদারকি করি না বা এসব বিষয়ের আলোচনায় বসি না। আমার বাবাই এসব বিষয়ে তদারকি করে। আমার বাবাজিটাতে সিগনেচার করতে বলে আমি সেখানে সিগনেচার করি। নেইমারের বাবা বলেন আমার ছেলের সব থেকে বেশি ফুটবলকে ভালবাসে এবং তার পরিবারকে বিশ্বাস করে তাই আমার ছেলে ফুটবলের দল বদলের বিষয়ে আলোচনায় বসে না। তার মানে এই নয় যে তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। আমরা তার চাওয়াটাকেই আগে প্রাধান্য দেই।
২০১৭ সালের স্পেনের উচ্চ আদালতে আপিল করেছিলেন নেইমার। তখন হেরে যাওয়ায় নতুন করে শুরু হল এই বিচার প্রক্রিয়া। নেইমারের আইনজীবী জানান নেইমারের পরিবারের প্রতি পরিচালিত এই মামলায় যথেষ্ট প্রমাণাদির অভাব রয়েছে তাই স্পেনের উচ্চ আদালতে আবারও আপিল করবে তারা।