বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।
প্রিয় সাথী বৃন্দ,
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও আপনাদের দোয়ায় মহান আল্লাহতালার অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছি সুস্থ আছি। আজকে আমি আমার জীবনের কিছু শৈশব স্মৃতি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই এই পোস্টটি আপনাদের সকলকে স্বাগতম এবং অভিনন্দন।
আমার শৈশব স্মৃতি
আমার শৈশব স্মৃতি এখনো আমার অনেক কিছু মনে আছে যেগুলো মনে আছে সেই কথাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। প্রত্যেক ব্যক্তিরই শৈশবের স্মৃতিগুলো মধুর এবং মনে রাখার মত হয়ে থাকে। তেমনি আমার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। মা আমার খুব রাগী ছিলেন। তিনি আমার পড়ালেখার ব্যাপারে খুবই আগ্রসভ ছিলেন। আমি ছোটকালে পড়াশোনায় তেমন একটা আগ্রহী ছিলাম না। কিন্তু এটা কখনোই মার সামনে প্রকাশ করতে পারি নাই।
ছোটকালে একটি স্মৃতির কথা আমার বারবারই মনে পড়ে। সেই স্মৃতিগুলো সাঁতার কাটা শেখানোর দৃশ্য। আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে যমুনা নদী বয়ে গিয়েছে। এবং আমাদের বাড়ির উত্তর পাশে অনেক বড় ডোবা ছিল। সেই ডোবা তে শস্য পানি থাকতো এবং মাছ থাকতো। সেখানে সবাই গোসল করতো। মা আমাকে একদিন গোসল করার সময় সাথে করে নিয়ে গিয়েছিল। তখন আমার বয়স চার কি পাঁচ বছর। মা সবার সামনে বলতেছে যে আজকে তোমাকে সাঁতার কাটা শেখাবো। তখন মা আমাকে অগ্রির পানির মধ্যে অর্থাৎ যেখানে আমি মাটির নাগাল পাবনা। সেরকম পানিতে নিয়ে গেল। নিয়ে যাওয়ার পর আমাকে পানির মধ্যে ছেড়ে দিল। ছেড়ে দেওয়ার পরে আমি তো প্রাণপণের চেষ্টা করতেছি পানির উপর ভেসে থাকার জন্য। কিন্তু আমি নিজেদের পানির নিচে চলে যাচ্ছি মা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে আর হাসছে কিন্তু সে আমাকে ধরছে না। এদিকে পানির তলে গেলাম আর কিছু দেখতে পাই না তখন মনে করলাম এই বুঝি আমার জীবন শেষ। এরপরে না তারপর পানির নিচে অনেক কান্নাকাটি করতেছি। একসময় দেখতেছি মা আমাকে দুই হাত দিয়ে স্পর্শ করছে। তখন আমি দ্রুত মাকে ধরে ফেললাম। মা আমাকে দ্রুত পানির উপরে তুলল অনেক পানি খেয়েছিলাম তা আজও মনে আছে। পার্কে বারো তারিখে কিছুক্ষণ কান্নাকাটি করলাম মার প্রতি রাগ দেখাইলাম। যেই স্মৃতি আজও আমার মনে পড়ে।
আসলে মা এর স্মৃতি মানে আরো অনেক রয়েছে যেগুলো আজও মনে পড়ে আজকের মত একটি স্মৃতি শেয়ার করলাম অন্য দিনে আরও অনেক স্মৃতি আছে যেগুলো আমরা আমি ধীরে ধীরে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।