বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।
প্রিয় সাথীবৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি সুস্থ আছি। আজকে আমি রমজান মাস সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই । এই পোস্টটা আপনাদের সকলকে স্বাগতম এবং অভিনন্দন।
রমজান মাস আসলে কি? মহান আল্লাহ তা'আলা রমজান মাসের রোজা রাখা ফরজ করেছেন এটা হল সিয়াম সাধনার মাস। এই মাসে আমরা ৩০ টি অথবা ২৯ টি রোজা রাখি যা চাঁদ ওঠা এবং শেষ হওয়ার উপর নির্ভর করে। এই মাসে শয়তানকে বেঁধে রাখা হয় যেন মানুষ আল্লাহ পাকের হুকুম খুব সুন্দর ভাবে পালন করতে পারে।
এই মাসের ফজিলত, এই মাস হল মুসলমানদের জন্য ফজিলতের মাস এ মাস মুসলমানের জন্য গুনাহ মাফের মাস। এই মাসে যে কোন ব্যক্তি অর্থাৎ মুসলিম হলেই সে যদি ইচ্ছা করে এই মাসে আমি সমস্ত গুনাহ মাফ করে নেব তবে সে অবশ্যই অবশ্যই তা সম্ভব হবে যদি তা আমার প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সঃ এর তরিকায় চেষ্টা করে। এই মাসে একটি খরচ পালন করলে ৭০ টি ফরজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। একটি সুন্নত পালন করে একটি ফরজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। এরকম এক টাকা দান করে ৭০ টাকা দানের সব পাওয়া যায়। এই মাসে একবার সুবহানাল্লাহ বললে ৭০ বার সুবহানাল্লাহ বলার সব পাওয়া যায়। এভাবে আমরা যেকোনো কাজ সম্পাদন করি না কেন যে আমলই করি না কেন তা ৭০ গুণ বেড়ে যায়। তাই এই মাসকে সব কামাইয়ের মাস বলা যাইতে পারে।
এ মাস যদি কেউ ৩০ টি রোজা রাখে এবং নবীর তরিকায় চলার চেষ্টা করে তবে রমজান মাসের পরে যে আরও ১১ টি মাস হয়েছে তাও সুন্দরভাবে সে পাপমুক্তভাবে চলার মত পথে সংগ্রহ করতে পারবে। এই মাসের এত ফজিলত এত ফজিলত যে অন্য কোন মাসের মধ্যে নেই। তাই আমরা যারা গুনাহগার ব্যক্তি আছি তারা এই মাসকে আমরা সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে পারি এবং রাতে আধারে উঠে আল্লাহর কাছে নিভৃতে আমাদের আকুতিগুলো জানাতে পারি আমাদের গুনাহ মাফ চাইতে পারি এবং চোখের পানি ফেলে আমার জিন্দেগী সমস্ত গুনাহ আল্লাহ যেন মাফ করে দেয় সে বিষয়ে দোয়া করতে পারি।
তাই আসুন আমরা সবাই এই মাসকে কদর করি এই মাসের রোজাগুলো রাখি এবং এই মাসে নামাজ গুলো সুন্দরভাবে নিয়মিতভাবে পড়ার চেষ্টা করি এবং তাহাজ্জতকে আমরা গুরুত্ব সহকারে পালন করি যাতে পরবর্তী মানুষগুলো আমার ঈমান আমল সঠিক শুদ্ধ হয়ে পালন করতে পারি। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।