১.তাহাজ্জুদ পড়ার সময় যদি অদৃশ্য উর্দ্ধলোকের পর্দা উঠিয়ে দেয়া হত, আমি অবাক বিস্ময়ে দেখতাম, একদল ফিরিশতা আমাকে ঘিরে আছেন। আমার তিলাওয়া-তাসবীহ মনোযোগ দিয়ে শুনছেন। আমার দোয়ায় আমীন বলছেন। তারা আমার সম্মানেই উর্দ্ধলোক থেকে নেমে এসেছেন।
.
২. শেষরাতের আঁধারে, ঘরের গহীন কোণে, তাহাজ্জুদরত আমি ফিরিশতার চোখে এক উজ্জ্বল তারকাসদৃশ। আমি যেমন আঁধার রাতে আকাশে জ্বলজ্বলে তারার দিকে বিমুগ্ধ নয়নে চেয়ে থাকি, ফিরিশতাগনও আমার দিকে চেয়ে থাকেন। ফিরিশতাগনের প্রভাবে আমার উপর প্রশান্তি বর্ষিত হতে থাকে। আমার চারপাশে বিরাজ করতে থাকে, সুখদ এক আবহ।
.
৩. বারবার বিরতিহীনভাবে দরজায় টোকা দিতে থাকলে, একসময় না একসময় গেরস্ত দরজা খোলেই। আমি তাহাজ্জুদের পর, ফিরিশিতাবেষ্টিত আবহে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে, ফিরিশতাদের আমীনের বরকতে রাব্বে কারীম আমার দোয়া কবুল করেই নেবেন।
.
৪. দু’হাত তুলে দোয়া করার সময়, শুন্য দুই তালুর প্রতি খেয়াল করে দেখব। কী অসহায়, নিঃসম্বল উজাড় দুটি হাত। কী অক্ষম আর অসহায়। অপরদিকে আল্লাহ? কী অপরিসীম শক্তিশালী। কী বিশাল খাজানার মালিক।
.
৫. আল্লাহর যিকিরের কী যে অপরিমেয় উপকারিতা, কিয়ামুল লাইলে দাঁড়ানো ব্যক্তি যদি তা জানত, আল্লাহর যিকির কতভাবে বান্দাকে বিপদাপদ থেকে রক্ষা করে, তা যদি যিকিরকারী জানত, তাহলে তার একটি নিঃশ্বাসও আল্লাহর যিকিরবিহীন কাটত না। একটি রাতও তাহাজ্জুদ ছেড়ে ঘুমুত না।