বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আমিও ভালো আছি। দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা সবাইকে যেন ভালো রাখে এবং সবার পরিবারকে হেফাজত করেন।
আজকে আমি পরিবারের সাথে কাটানো কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই।
যেহেতু আমরা মানুষ আমাদেরও ক্লান্তি আছে। তাই এ ক্লান্তি দূর করার জন্য আমাদের উচিত নিজেদের কিছু সময় দাওয়া। আর এই সময়টুকু যদি আমরা নিজের প্রিয় মানুষের সাথে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার মধ্য দিয়ে হয়ে থাকে তাহলে তো আর কোন কথা নেই। সে ঘুরতে যাওয়াটা আরো বেশি সার্থক হবে যদি পাশে প্রিয় মানুষটা থাকে। আজকে আমার সেই সুযোগটা হল। আজকে অনেকদিন যাবত অসুস্থ থাকার কারণে মনটা খারাপ ছিল তাই আমি ভাবলাম একটু দূরে আসা যায় কোথাও থেকে। এই ভেবে আমি ঘুরতে বের হয়েছি আমার ওয়াইফ ও বাচ্চাকে নিয়ে। ঘুরতে গিয়েছিলাম আমাদের এখানে একটি পার্ক আছে যার নাম হলো গ্রীন পার্ক ওই জায়গাতে আজকে আমরা পুরো বিকেল বেলা ও সন্ধ্যা বেলা কাটিয়েছি।
আজকে দুপুর বেলা খাওয়া-দাওয়া করে আমি পরিকল্পনা করি আমি যে আমরা গ্রিন পার্কে যাবো কিন্তু এটা আমি আমার বাচ্চাও ওয়াইফ কে বলিনি। ওদেরকে বলেছিলাম একটু বাজারে যাব কাজ আছে। এ কথা বলে এদেরকে বের করে পার্কে নিয়ে যাই। যা আমার ওয়াইফ রীতিমত অবাক হয়ে গেল। যাই হোক আমরা বিকেল পাঁচটা বাজে যাত্রা শুরু করি। আমি গ্রামে যেহেতু থাকি আশেপাশে ঘোরার জন্য আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় যানবাহন টি হল রিক্সা। রিকশা করে ঘুরতে আমার অনেক পছন্দ। তাই এলাকার ছোট ভাই রিকশাওয়ালাকে বলি আসতে।যথাসময়ে চলে আসে। তারপর আমরা রিকশা নিয়ে গল্প করতে করতে চলতে থাকি পার্কের দিকে। আধঘন্টা রিকশা চড়ার পরে চলে আসে আমরা পার্কের সামনে তারপর রিক্সাকে বিদায় দিয়ে আমরা যাই পার্কের কাউন্টারে। দুটি টিকিট সংরক্ষণ করি। তারপর টিকেট দুটি সামনে বসা দারোয়ানকে দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করি।
তারপর আমরা গিয়ে একটু হাটাহাটি করি। আমি গ্রীন পার্কে ছোট্ট একটি ধারণা দিয়ে আপনাদেরকে এটা চার ভাগে বিভক্ত এক ভাগে রাইড বাচ্চাদের জন্য দ্বিতীয় ভাগে পার্ক ঘোরাঘুরি জন্য তৃতীয় ভাগে কেনাকাটার জন্য কিছু শপিং দোকান চতুর্থ খাবারের দোকান। বাচ্চাকে নিয়ে চলে যাই রাইডগুলোর কাছে। যেহেতু আমার বাচ্চার বয়স কম সেই সবগুলো রাইড উঠতে পারবে না তাই আমরা বাচ্চাদের নিয়ে দোলনার রাইড চলে যাই। কারণ আমরাও ওইটাকে চড়তে পারবো বাবুকে নিয়ে একলা কোথাও যাওয়া যায় না। রাইড অনেক ভালো লাগলো। রাইডটি চড়ার জন্য দাম পরিশোধ করতে হলো ১০০ টাকা। এইদিকে আমি ব্যস্ত করি কিছু ছবি ক্যামেরা বন্ধিকরার জন্য।
তারপর আমরা পার্কে দিকে চলে যাই ওইখানে গিয়ে অনেকক্ষণ বসে থাকি নিজেদের মতো গল্প করি এবং কিছু ছবি ক্যামেরা বন্দি করি।
তারপর আমরা চলে যাই খাওয়া-দাওয়ার সাইডে। যেহেতু সন্ধ্যা হয়ে গেছে তাই আমরা নাস্তা করার জন্য একটি রেস্টুরেন্টে যাই। রেস্টুরেন্টে গিয়ে নাস্তা অর্ডার করি পরোটা ও চিকেন বারবিকিউ। অর্ডার করার পরে অপেক্ষা করি কিছু সময় তারপর নাস্তা করে আমরা বের হয়ে পড়ি।
তারপর চলে যাই কিছু কেনাকাটা করার জন্য। আমার ওয়াইফের জন্য কিছু কেনাকাটা করি। সে নিজের পছন্দের কিছু জিনিস ক্রয় করে কিন্তু আমি থাক ছবি তুলতে পারি। এবং নরমাল করার জন্য একটি জুতা ক্রয় করি। বাবুর জন্য কিছু খেলনা ক্রয় করি। এবং আমরা নিজেদের পছন্দের কিছু আচার বাসার জন্য কিনে নিয়ে যাই।
তারপর আমরা আরো কিছু সময় ঘোরাফেরা করি বের হয়ে পড়ি বাড়ি যাওয়ার জন্য। এখানেই শেষ করে আমাদের আজকে সেই মজার মুহূর্তটি। আজকে এই পর্যন্তই ইনশাল্লাহ করে আরও বিভিন্ন আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব তখন পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি।
আল্লাহ হাফেজ।