আসসালামু আলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি, আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম আমার আরেকটা নতুন পোষ্ট নিয়ে। চলুন শুরু করি আমার আজকের পোষ্টটা -
ছাত্র জীবনের নবম শ্রেণি থেকে শুরু হয় ব্যবহারিক খাতা লেখা। পড়াশুনা শেষ পর্যন্ত সেই নিয়মটা চলতে থাকে। ছোট বেলা থেকেই আমি বেশ ভালো ছবি আঁকতে পারতাম। এরপর নিজের ইচ্ছায় সপ্তম শ্রেণী থেকে একটা ছবি আকার স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম। সেখানে তিন বছর আমি ছবি আকা শিখেছিলাম। এরপর থেকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে নানা কাজেই আমি ছবি অংকন করতাম। এমন কি আমাদের এলাকার অনেক মানুষও আমার কাছে বিভিন্ন সময় আসত ছবি অংকন করার জন্য। বিশেষ করে ছাত্ররা তাদের ব্যবহারিক খাতার চিত্র অংকন করতে আসত।
হাই স্কুল পার করে, বর্তমানে পলিটেকনিক জীবনটা প্রায় শেষ, কিন্তু সেই ব্যবহারিক লেখা আর চিত্র আকানোটা এখনও বন্ধ হয় নাই৷ পলিটেকনিকে আসার পর থেকে ব্যবহারিক নাম হয়েছে জব রিপোর্ট লেখা। এগুলো লিখতে লিখতে অতিষ্ঠ আমার জীবন। আর এগুলো লিখতে ভালো লাগে না। গত পরশু দিন একটু কাজের জন্য বাড়ী গিয়েছিলাম। গত রাতে আমার চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে এসে বলতেছে, কাকু তোমার কাছে আমার একটু দরকার আছে, আমি বললাম বলো, কি হয়ছে, সে বলল তার একটা কৃষিশিক্ষা ব্যবহারিক খাতার চিত্র অংজন করে দেওয়া লাগবে।
বর্তমানে অনেক দিন হলো এইসব ছবি আকানো হয় না। কিন্তু সেই পুরোনো কাজ যেনো আবারও ফিরে আসল আমার কাছে। সন্ধার পর বসলাম চেয়ে চিত্রগুলো অংকন করার জন্য। আমি শুধু চিত্র অংকন করে দিব। ওরা নিজেদের লেখাটা লিখে নিবেনে। আমি পাঁচটা পৃষ্ঠায় ছবি একে দিলাম। অনেক দিন পর ছবি আকাল এজন্য একটু দেরি হয়েছে এবং ছবিগুলোও তেমন একটা ভালো হয় নাই। বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী তাদের ব্যবহারিকের কাজগুলো নিজেরা না করে অন্যদের দিয়ে করায়ে নেন। এতে করে তারা দায় থেকে রেহায় পান। কিন্তু উচিত ছিল প্রতিটা শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ ব্যবহারিক করা৷ এতে তারা কিছুটা হলেও ধারণা পেতো।
আমার জীবনে আমি অনেকের ছবি অংকন করে দিয়েছি। কিন্তু নিজের কাজগুলো আমি কখনও অন্যদের দিয়ে করাই না৷ যত কষ্টই হোক,সব সময় চেষ্টটা করি আমার কাজগুলো আমি নিজে করার। আশা করি আমার ব্যবহারিকে অংকন করা ছবিগুলো আপনাদের সবার কাছে ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার আজকের পোষ্টটা পড়ার জন্য।