বায়ু দূষণ : বায়ু দূষণের কারণে মানব জীবনে ক্ষণস্থায়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব লক্ষ্য করা যায় --
ক্ষণস্থায়ী প্রভাবের মধ্যে রয়েছে অসুস্থতা অনুভব করা, উদ্বেগ- উৎকন্ঠতা, মাথা ব্যথা, মাথা ঘুরানো, বমি আসা, গলা ব্যথা, চোখ জ্বালাপোড়া করা, ত্বকের ক্ষতি ইত্যাদি। আর স্থায়ী প্রভাবের মধ্যে রয়েছে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা, হৃদরোগের ঝুঁকি, স্ট্রোকের ঝুঁকি, ফুসফুসের ক্যান্সার, স্নায়ুর ক্ষতি, কিডনি সমস্যা যকৃৎ সমস্যা এবং শিশুর বেড়ে উঠতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
এছাড়াও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে ফলে উদ্ভিদ এবং প্রাণীর মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, জলবায়ু পরিবর্তন করে, এসিড বৃষ্টি হওয়ায়, ধূয়া এবং কুয়াশার সৃষ্টি করে।
যেভাবে বায়ু দূষণ করে তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য - বায়ুতে কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, কর্বন মোনোঅক্সাইড, ক্লোরোফ্লুরোকার্বন, অ্যামুনিয়া, মিথ্যেন, নাইট্রে অ্যাসিড ইত্যাদি গ্যাস বায়ুতে নির্গমন হওয়া। এছাড়াও বায়ুতে জৈব - অজৈব পদার্থ উদ্বায়ী, বিষাক্ত ধাতুপ পদার্থ ( যেমন সীসা, পারদ) বায়ুতে মিশ্রণ হওয়া।
যে সকল কারণে বায়ুতে বিভিন্ন রকমের গ্যাস এবং জৈব -অজৈব পদার্থ উদ্বায়ী হচ্ছে তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো - কলকারখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান, আগ্নেয়গিরি উৎক্ষেপণ, দাবানল, মোটরযান, বিদ্যুৎ উৎপাদন, মিলিটারি কার্যকলাপ,কীটনাশক প্রয়োগ, সার প্রয়োগ, আর্জনা পোড়ানো, ইট পোড়ানো ইত্যাদি।