বাংলাদেশের অধিকাংশ নদীতে নদী ভাঙ্গনের প্রবণতা রয়েছে এবং বাংলাদেশের অসংখ্য নদ নদী রয়েছে এটা স্বাভাবিক রয়েছে বিষয়টি। তাই এদেশের অনেক জায়গাতেই নদীভাঙ্গনের প্রবণতা দেখা যায় প্রতিবছর। নদীর পাড় ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে আমাদের মূল্যবান কৃষিজমি, বাড়িঘর, সড়ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজার বিলীন হয়ে যায় প্রতিনিয়ত যার ফলে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক জীবনে ব্যাপক ক্ষতি দেখা যায়।
নদী ভাঙ্গনের কারণ
বন্যা নদী ভাঙ্গনের একটি অন্যতম প্রাকৃতিক কারণ। বন্যার অতিরিক্ত পানির স্রোতে ঢেউ নদীপাড়ে আঘাত হানে ফলে বন্যার সময় নদী ভাঙ্গন শুরু হলে তা মারাত্মক রূপ ধারণ করে। এবং প্রতিনিয়ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বেশি বেশি বাড়িঘর তৈরি করা হচ্ছে যার জন্য বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। গাছের শিকর মাটি আটকে রাখে এবং মাটির ক্ষয়রোধ করে তাই গাছপালা কম থাকার কারণে নদী ভাঙ্গন বেশি দেখা যায়।
ক্ষতির পরিমাণ হ্রাসের উপায়
আসলে প্রকৃতির কাছে আমরা সবাই দুর্বল কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ কারো বাধা মানে না প্রকৃতি তার নিজের গতিতে চলে। তবে প্রকৃতি মানুষের জন্য যে বিপর্যয় বয়ে নিয়ে আসে তার পেছনে দায়ী মানুষ। প্রে আমাদের উচিত গাছপালা নির্ধারণ না করে আরো বেশি করে বৃক্ষরোপণ করা।
এবং যদি আট পূর্ব থেকে বোঝা যায় যে এই অংশে প্রতিবছর নদী ভাঙ্গন দেখা যায় তাহলে পরিবার-পরিজন নিয়ে স্থানান্তর করতে হবে। কারণ জীবন বেঁচে থাকলেই সম্পদ ব্যবহার করতে পারবেন আপনি আর যদি আপনি বেঁচে না থাকতে পারেন আপনার পরিবার যদি বেঁচে না থাকে তাহলে ওই সম্পদের কোন মূল্য নেই। সম্পূর্ণরূপে এই নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় কিন্তু আগে থেকে সচেতনতা অবলম্বন করলে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব।