বায়ু দূষণ
বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস ধূলিকণা দোয়া অথবা দুর্গন্ধ হতে মিশে বায়ু দূষিত করে। যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া বায়ু দূষণের প্রধান কারণ। গাছপালা ও ময়লা আবর্জনা পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট দোয়ার মাধ্যমে ও বায়ু দূষিত হয়। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা এবং মলমূত্র ত্যাগের ফলে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়ায় এভাবে বায়ু দূষিত হয়। বায়ু দূষণের ফলে পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে ও এসিড বৃষ্টি হচ্ছে তাছাড়া মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
পানি দূষণ
পানিতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ নিঃসৃত হয় পানি দূষিত হয়। পয়নিস্কাশন গৃহস্থালির বজ্র অথবা কারখানার ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থের মাধ্যমে পানি দূষিত হয়। এছাড়াও ময়লা-আবর্জনা পানিতে ফেলা কাপড় ধোয়া ইত্যাদির মাধ্যমে পানি দূষিত হয়। পানি দূষণের ফলে জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে এবং জলজ্জ খাদ্য শৃংখল এর ব্যাঘাত ঘটছে। পানি দূষণের কারণে মানুষ কলেজ আবার ডায়রিয়ার মত পানিবাহিত রোগ এবং বিভিন্ন চর্ম রোগের আক্রান্ত হচ্ছে যার ফলে তাদের অর্থদণ্ড এমনকি কোন পরিবারের কোনো সদস্য অকাল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে।
মাটি দূষণ
বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর বস্তু মাটিতে মিশে মাটি দূষণ হয়। কৃষি কাজে ব্যবহৃত সার ও কীটনাশক গৃহস্থালী ও হাসপাতালের বজ্র কলকারখানার বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও তেল ইত্যাদির মাধ্যমে দূষিত হয়। মাটি দূষণের ফলে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়। গাছপালা ও পশু পাখি মারা যায় ও তাদের বাসস্থান ধ্বংস হয়। মাটি দূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। দূষিত মাটিতে উৎপন্ন ফসল খাদ্য হিসেবে গ্রহণ এর ফলে মানুষ ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
শব্দ দূষণ
শব্দ দূষণ মানুষ ও জীবজন্তুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি সাধন করে। বিনা প্রয়োজনে হর্ন বাজিয়ে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে এবং লাউডস্পীকার মাইক বাজিয়ে মানুষের শব্দ দূষণ করছে। কলকারখানায় বড় বড় যন্ত্রপাতির ব্যবহার শব্দ দূষণের কারণ। শব্দ দূষণ মানুষের মানসিক ও শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করছে।