বৃহৎ শিল্প ও কুটির শিল্প
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৃহৎ শিল্প ও কুটির শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বাংলাদেশের কিছু কিছু কারখানায় বিপুল পরিমাণে পণ্য উৎপন্ন হয়। আবার কিছু কিছু কারখানা রয়েছে সেখানে স্বল্প পরিমাণে স্থানীয়ভাবে পণ্য উৎপন্ন হয়।
বৃহৎ শিল্প
বাংলাদেশের যে সকল বৃহৎ শিল্প রয়েছে তার মধ্যে শাহ সিমেন্ট ঔষধ কাগজ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের ফেঞ্চুগঞ্জ ঘোড়াশাল আশুগঞ্জ চট্টগ্রাম তারাকান্দি প্রভৃতি স্থানে সার কারখানা আছে তবুও বিদেশ থেকে আমাদের সার আমদানি করতে হয়। আমাদের নির্মাণ শিল্পের জন্য সিমেন্ট দরকার হয় যা আমাদের দেশের বিভিন্ন সিমেন্ট কারখানাগুলোতে উৎপন্ন হয়।
উন্নত মানের ওষুধ তৈরির জন্য ওষুধ কারখানা আছে। কাগজ কল গুলোতে গাছের গুড়ি থেকে কাগজ তৈরি করা হয়। তিনটি সরকারি কাগজ কল রয়েছে চন্দ্রঘোনা খুলনা এবং পাকশীতে। এছাড়া বেসরকারি ভাবে বেশ কিছু কাগজ কল স্থাপিত হয়েছে যা দেশের চাহিদার অনেকাংশ পূরণ করে। তবে কিছু বলুন কাগজ আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
আমাদের চিনিকলগুলোতে চিনি উৎপাদন ও পরিশোধন করা হয়। এদেশে সরকারি চিনিকল ছাড়াও বেশকিছু বেসরকারি চিনিকল রয়েছে। তবে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ চিনি আমদানি করতে হয় দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য।
কুটির শিল্প
যখন কোন পণ্য ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়িঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তখন তাকে কুটির শিল্প বলে। বাংলাদেশের সুন্দরবন চট্টগ্রাম এবং সিলেটের বনাঞ্চলের কাঠ পাওয়া যায়। এই কাঠ দিয়ে বাড়িঘর এবং আসবাবপত্র তৈরি হয় যেমন খাট টেবিল চেয়ার বেঞ্চ আলমারি ইত্যাদি। গৃহস্থালির নানা কাজে কাঁসার তৈরি জিনিস ব্যবহার করা হয়। জামালপুর জেলার ইসমাইলপুর টাঙ্গাইল জেলার কাগমারি এবং ঢাকা জেলার ধামরাই কাঁসা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। আমরা মাটি দিয়ে মাটির পাত্র এবং পোড়ামাটির নানা জিনিস তৈরি করে যেমন হাড়ি পাতিল খেলা ফুলদানি টালি ইত্যাদি।
এবং এসকল মাটির তৈরি জিনিস গুলো কিন্তু অতীতের ঐতিহ্য বহন করে বা ধরে রেখেছে এখনও। এবং বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চল বা অজ পাড়াগাঁয়ে যেখানে এখনো আধুনিকতার ছোঁয়া পড়েনি সে জায়গাগুলোতে গেলে এই জিনিসপত্রগুলো দেখা যায়। এবং যেগুলোকে ওই অঞ্চলের মানুষ এখনও তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে প্রতিনিয়ত। এমনকি তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ নির্বাহ করে তারা এগুলোর মাধ্যমে।