সুষম খাদ্য আমাদের সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। তবে মানুষের বয়স ও কাজ অনুযায়ী খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদার পরিমাণ কমবেশি হয়ে থাকে। তাই জানা দরকার আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু পুষ্টির প্রয়োজন?
সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা
রুমা খাদ্য গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ ও সবল থাকার জন্য আমাদের সঠিক পরিমাণ পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ না করলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সহজেই রোগে আক্রান্ত হয়। শরীরের কোন গ্রহ তারা সবাই। অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। আবার অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে ওজন জনিত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের বয়স্ক কাজের ধরন অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। তবে যারা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করে তাদের বেশি খাদ্যের প্রয়োজন।
খাদ্য সংরক্ষণ
বছরের সব সময় সব ধরনের খাদ্য দ্রব্য পাওয়া যায় না। তাই খাদ্যদ্রব্য নানাভাবে সংরক্ষণ করতে হয়।
খাদ্য সংরক্ষণের উপায়
বৈজ্ঞানিকভাবে বিভিন্নভাবে খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়। চালডাল গম ইত্যাদি রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়। মাছ মাংস সবজি ফল ইত্যাদি ফ্রিজের ঠান্ডা বেশ কিছুদিন ভালো থাকে। এছাড়াও হিমাগারে শাক সবজি মাছ মাংস ইত্যাদি সংরক্ষণ করে বছরের বিভিন্ন সময়ে বাজারে সরবরাহ করা হয়। ফল থেকে তৈরি জ্যাম জেলি আচার ইত্যাদি বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়। এছাড়া লবণ বা বরফ দিয়ে মাছ সংরক্ষণ করা যায়।
খাদ্য সংরক্ষণের গুরুত্ব
খাদ্য সংরক্ষণে অপচয় রোধ করে ও দ্রুতপঠন থেকে খাদ্য কে রক্ষা করে। মাছ মাংস সবজি ফল দুগ্ধজাত খাদ্য ইত্যাদি খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পচে নষ্ট হয়ে যায়। খাদ্য সংরক্ষণ খাবারের পচন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয়। খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন মৌসুমী খাদ্যদ্রব্য সারা বছর পাওয়া যায়। এছাড়া খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে অনেক দূরবর্তী এলাকায় সহজে খাবার সরবরাহ করা যায়।