তাপ সঞ্চালন
উচ্চ তাপমাত্রা রাস্তা থেকে নিম্ন তাপমাত্রায় স্থানে তারপর প্রবাহিত তাপ সঞ্চালন এবং তাপ পরিবহন পরিচলন বিকিরণ 3 উপায়ে সঞ্চারিত হয়।
পরিবহন
কঠিন পদার্থের মধ্য দিয়ে তাপ পরিবহন পদ্ধতিতে সঞ্চালিত হয়। আমরা যদি গরম পানির পাত্রে একটি ধাতব চামচের অগ্রভাগ দুবাই তবে খুব দ্রুতই চামচ তেল গরম হয়ে ওঠে। এর কারণ গরম পানির চাপ চামচ এর মধ্যে দিয়ে সঞ্চালিত হয় চামচের গরম অংশ থেকে ঠান্ডা অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
পরিচলন
তরল এবং বায়বীয় পদার্থের মধ্য দিয়ে তাপ পরিচালন পদ্ধতিতে সঞ্চালিত হয়। যখন আমরা কোনো পানির পাত্র কে চুলায় গরম করি তখন এর নিচের অংশের পানি প্রথমে গরম হয়ে উপরে উঠে আসে। আর পাথর এর উপরের অংশের পানির তাপমাত্রা কম থাকায় তা নিচে নেমে আসে যা আবার গরম হয়ে উপরের দিকে উঠে আসে। এভাবে তাপমাত্রায় পানির সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
বিকিরণ
যে প্রক্রিয়ায় তাপশক্তি কোন মাধ্যম ছাড়াই উৎস থেকে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে থাকে বিকিরণ বলে। কঠিন পদার্থের মধ্য দিয়ে পরিবহন এবং তরল ও বায়বীয় পদার্থের মধ্য দিয়ে পরিচালক প্রক্রিয়ায় তাপ সঞ্চালিত হয়। কিন্তু বিকিরণ প্রক্রিয়ায় তাপ কঠিন তরল ও বায়বীয় মাধ্যম ছাড়া সঞ্চালিত হয়। ইগ্নরে পৃথিবী থেকে সূর্য লক্ষ লক্ষ কিলোমিটার দূরে হলেও আমরা সূর্যের তাপ পাই। বাতি থেকে ও এ প্রক্রিয়ায় তা পাওয়া যায়।
আলুর সঞ্চালন
আলোচকের এমন একটি রুম যা আমাদের দেখতে সাহায্য করে। আলো বিকিরণ পদ্ধতিতে সঞ্চালিত হয়। কঠিন তরল ও বায়বীয় মাধ্যম ছাড়াই আলু সঞ্চালিত হতে। কঠিন তরল ও বায়বীয় মাধ্যম ছাড়াই আলো সঞ্চালিত হতে পারে। আলোর সঞ্চালনের জন্য কোন মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না। চাঁদ তারা এবং সূর্য থেকে আলো বিকিরণ প্রক্রিয়াতেই পৃথিবীতে আসে।