বাড়িতে নিজের হাতে লাগানো শাক সবজি এবং বাজারে থেকে কিনে আনা শাকসবজির পুষ্টি গুণ কখনোই সমান নয়।
কারণ বাড়িতে নিজের হাতে লাগানো শাক সবজি তে কখনো কোন কীটনাশক প্রয়োগ করা হয় না।
শুধু মাত্র অর্গানিক উপায়ে চাষ করা হয়।
অপরদিকে বাজারে থেকে যেসব শাক সবজি আনা হয়, সেগুলোতে কীটনাশক প্রয়োগ করে চাষ করা হয়।
তাই আমিও যথাসম্ভব চেষ্টা করি বাসায় নিজের হাতে শাকসবজি চাষ করতে।আর সেই শাকসবজি দিয়ে তৃপ্তি সহকারে খাবার খেতে।যেমন আজকেই আমি পুঁই শাক দিয়ে ভাত খেয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় টা হলো, রান্না করা সবজির ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম।
যাই হোক আমি অনেক সবজি লাগিয়েছি বাসার ছাদের উপর।
সেগুলোর মধ্যে আজকে আমি পুঁই শাকের কিছু চমৎকার ছবি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
পুঁই শাক আমাদের সবারই অনেক পছন্দের। আবার পুষ্টিগুণও অনেক রয়েছে পুঁই শাকের মধ্যে।যেমন :পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম, আয়রণ, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, জিঙ্ক ।
পুঁই শাক শুধু বড় মানুষদের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করে না। ছোট বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকারী পুঁই শাক।
বাচ্চাদের প্রয়োজন মতো বেড়ে ওঠার জন্য পুঁই শাক খাওয়ালে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কারণ ভিটামিন, প্রোটিন, নানান খনিজ এসব প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পুঁই শাকের মধ্যে রয়েছে।
দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধির জন্য পুঁই শাক বেশি করে খাওয়া উচিত। ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য পুঁই শাক খুবই উপকারী। কারণ পুঁইশাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে।এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। পাশাপাশি ইনসুলিনের ভারসাম্যও ধরে রাখে।
দৈনন্দিন জীবনে কাজ কর্মে এনার্জি বাড়াতে পুঁই শাক ভীষণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও পুঁই শাক আমাদেরকে তরতাজা ও এনার্জেটিক রাখে।
অ্যাজমা, মাথা ব্যথা, রক্তচাপ ও ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে পুঁই শাক খুব উপকারী।
পুঁই শাক ভিটামিন কে’র একটি খুব ভালো উৎস। আর আমাদের হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে ভিটামিন কে। তাই হাড়ের শক্তি বাড়ানোর জন্য পুঁই শাক বেশি করে খেতে হবে সবাইকে।
বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, চুল ও ত্বকের জন্য এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পুঁই শাক খুব উপকারী একটি সবুজ সবজি।
তাই সবাই বেশি বেশি করে সবুজ শাকসবজি খান ও সুস্থ থাকুন।
🥦🥦🥬🥬🥬🥬🥬🥬🥬🥦🥦