That was in 2004. I have just been admitted to the first class of the school. We still had mud houses. A mud house is surrounded by bamboo fences and tin on top. This fence was again covered with clay. There were six of us in the family. Grandparents, parents, sisters and me. We only had two houses. Grandmother used to live in one house, with sacks of rice and pots and pans. My sister and I lived in another room with my parents. Grandpa used to sleep on a stool on the pedestal.
সেটা ২০০৪ সাল। সবেমাত্র স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছি। আমাদের তখনও মাটির ঘর ছিল। মাটির ঘর বলতে চারপাশে বাঁশের বেঁড়া আর উপরে টিন। এই বেঁড়া আবার কাদামাটি দিয়ে লেপে দেওয়া হত। পরিবারে আমরা মোট ছয়জন ছিলাম। দাদা-দাদী, বাবা-মা, বোন আর আমি। আমাদের মাত্রই দুইটা ঘর ছিল। এক ঘরে দাদী থাকতো, সাথে থাকতো ধান-চালের বস্তা আর হাঁড়িপাতিল। আমি আর আমার বোন থাকতাম মা-বাবার সাথে অন্যরুমে। দাদা পিঁড়ির উপর একটা চৌকিতে ঘুমাতো।
The whole of Bangladesh was caught in a terrible storm of rain. One night the fence on three sides of our house collapsed. I slept with my head hidden in my mother's chest all night in fear. I woke up in the morning and saw that the tin in our house was in the right place but it was not in many houses. The storm blew away. The plants looked like they had come from a battlefield. On the opposite side of the road in front of the house was one knee water. Somewhere it was touching our chest at that time. In the minds of the big people, there was fear and apprehension in the eyes of the world at that time because even after one night's storm had caused enough damage, its taste may not have been satisfied. There were clouds in the sky then. The look of joy in the eyes of adults is just as much as the look of fear in the eyes of adults. Because there is water in front of us, and our minds were rising to get into this water. I know that after walking in the water for hours and getting wet and lonely, when I come home, I am sure to be hit by my mother's hand, but getting into the water is more joyous than Eid.
সেবার ভয়ঙ্কর এক ঝড় বৃষ্টির কবলে পড়েছিল পুরো বাংলাদেশ। একরাতে আমাদের ঘরের তিনদিকের বেঁড়া ভেঙ্গে পড়ে গিয়েছিল। ভয়ে সারারাত মায়ের বুকের মধ্যে মাথা লুকিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। সকালে উঠে দেখি আমাদের ঘরের টিন যথাস্থানে থাকলেও অনেকের ঘরেই তা ছিল না। ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল। গাছপালা দেখে মনে হচ্ছিল এগুলো কোন যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে এসেছে কেবলি। বাড়ির সামনে রাস্তার বিপরীত পাশে তখন এক হাঁটু পানি। কোথাও কোথাও তা আমাদের বুক স্পর্শ করছিল সেসময়। বড় মানুষের মনে, চোখে তখন দুনিয়ার শঙ্কা আর ভয় বিরাজ করছিল কারণ এমনিতেই এক রাতের ঝড় যথেষ্ট ক্ষতি করে যাওয়ার পরেও হয়তো তার স্বাদ মেটেনি। আকাশে তখন মেঘের ঘনঘটা ছিল। বড়দের চোখেমুখে তখন যতটা ভয় আমাদের চোখে মুখে তখন ঠিক ততটাই আনন্দের ছাপ। কারণ সামনেই পানি, আর এই পানির মধ্যে নামার জন্য আনাদের মন তখন উথলে উঠছিল। জানি পানিতে ঘন্টার পর ঘন্টা হাঁটাহাঁটি করে ভিজে একাকার হয়ে যখন বাসায় আসবো মায়ের হাতের মার তখন সুনিশ্চিৎ, তবুও পানিতে নামাটা তখন ঈদের থেকেও আনন্দের।
We were not late. We say there were people of the same age in the village at that time. Many of us may not have met or talked to each other year after year, but at that time our friendship was very strong. As I plunged into the water, I saw a banana tree lying in the garden, and my eyes widened. I immediately added a sickle, the process of making a raft began. That was a strange construction technique. We made the raft not because we could not get wet in the water, because the process of making a raft was going on in one chest of water. There is water almost all over the horizon in front, but don't ever walk around making a raft !!
আমরাও আর দেরি করিনি। আমরা বলতে সেসময় গ্রামে সমবয়সী যারা ছিলাম। অনেকের সাথে এখন হয়তো বছরের পর বছর কোন দেখা সাক্ষাৎ নাই, কথা নাই, কিন্তু সেসময় আমাদের বন্ধুত্ব টা ছিল ইস্পাত কঠিন দৃঢ়। পানিতে নেমেছিলাম, হঠাৎ বাগানের মধ্যে কলা গাছ পড়ে থাকতে দেখে চোখ আরো বেশি লকলক করে উঠেছিল। সাথে সাথে একটা কাস্তে যোগার করেছিলাম, শুরু হল ভেলা বানানোর প্রক্রিয়া। সে এক অদ্ভূত নির্মাণ কৌশল। ভেলা বানিয়েছিলাম এই জন্য না যে, পানিতে ভেজা যাবেনা, কারণ এক বুক পানির মধ্যে থেকেই ভেলা বানানোর প্রক্রিয়া চলমান ছিল। সামনে প্রায় দিগন্ত জুড়ে পানি, অথচ ভেলা বানিয়ে ঘুরে বেড়াবোনা তা কি হয় কখনো!!
I spent the whole day in the water. There were many together. I would eat in the morning and come home in the afternoon. The mother called him a few times to go home, but did not go to the mother. Because the mother will not let him come again. Better a poor horse than no horse at all. Now it goes and later it goes, there must be a beating. Hahaha.
সারাদিন কাটিয়েছিলাম পানির মধ্যে। একসাথে অনেকে ছিলাম। সকালে খেয়ে বের হয়ে প্রায় বিকেলে বাড়ি আসতাম। এর মধ্যে মা কয়েকবার বাড়ি যাওয়ার জন্য ডাকলেও মায়ের কাছেও যায় নাই। কারণ গেলেই মা আর আসতে দেবেনা। তার থেকে একবারে নিজের খায়েশ মিটিয়ে বাড়ি যাওয়ায় ভাল। এখন যায় আর পরে যায়, প্রহার তো হবেই। হাহাহা।
The adults worked all day to fix the house and we discovered new things every day to have fun in the water. It had been raining for about a week. The more it rained, the more fun we had. Every night my mother forbade me to go into the water. I used to promise my mother at night that I would never go down in the water again. In the morning I would forget it unknowingly. Then I would understand what the promise is!
বড়রা সারাদিন কাজ করতো বাড়ি ঘর ঠিক করতে আর আমরা প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু আবিষ্কার করতাম পানিতে মজা করার জন্য৷ সেবার প্রায় এক সপ্তাই এমন ঝড় বৃষ্টি চলেছিল। যত বেশি বৃষ্টি হত, আমাদের মজাটা ততই বৃদ্ধি পেত। প্রতিরাতে মা ভয়ংকর ভাবে নিষেধ করতেন পানিতে না নামার জন্য। রাতে মায়ের কাছে প্রতিজ্ঞা করতাম যে আর পানিতে নামবোনা। সকাল হলে তা বেমালুম ভুলে যেতাম। তখন কি আর প্রতিজ্ঞা কাকে বলে তা বুঝতাম!
The gardens were submerged in the water for the last time. It still rains from time to time and those joys do not come back as joys, mother's hand is not beaten for a long time, mother also does not mean anything like that now. Now our brick cement house has risen. This house does not break down like before. Since there is no house, grandpa has to sleep on the pedestal and grandma has to sleep in the house where rice is stored. Grandma has been away for eight years. I can still tell you about that day word for word. Grandma put her hand on my cheek two hours before she died. The day I took my grandfather down to the grave with my own hands eighteen months ago, a rat was constantly biting into my chest. Life has changed a lot now. A few months ago, I took my uncle down to the grave with my own hands. I never felt so heavy when I laid my uncle on the grave. I felt like I was losing control. A few drops of water went later on the uncle's shroud. I can still see it clearly.
সেবারই শেষ বারের মত আমাদের ওখানে পানি তে বাগান গুলো ডুবেছিল। এখনো মাঝে মাঝে বৃষ্টি হয় আর সেই আনন্দগুলো আনন্দ হয়ে ফিরে আসেনা, মায়ের হাতের মার ও অনেকদিন খাওয়া হয়না, মাও এখন আর ওভাবে বুঝায় না কোন কিছু। এখন আমাদের ইট সিমেন্টের ঘর উঠেছে। আগের মত এই ঘর আর ভেঙ্গে যায় না। ঘর না থাকায় দাদাকে পিঁড়ির উপর আর দাদীকে ধান গম রাখার ঘরে আর ঘুমাতে হয়না, দাদী ছেড়ে গিয়েছে আট বছর হল। সেদিনের কথা এখনো আমি অক্ষরে অক্ষরে বলে দিতে পারি। দাদি আমার গালে হাত বুলিয়েছিল মারা যাবার দুই ঘন্টা আগে। দাদাকে আঠারো মাস আগে যেদিন নিজ হাতে কবরে নামিয়েছিলাম, বুকের মধ্যে একটা ইদুর কুটকুট করে কেটে যাচ্ছল অনবরত। জীবনটা এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কয়েকমাস আগে আমার চাচাকেও তো নিজ হাতে নামিয়ে আসলাম কবরে। যখন চাচাকে কবরের বুকে শুয়ে দিয়েছলাম নিজেকে কখনো আর এত ভারী মনে হয়নি। মনে হচ্ছিল নিজের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছি। কয়েক ফোঁটা পানি চাচার কাফনের উপর পরে গিয়েছিল। তা এখনো আমি স্পষ্ট দেখতে পারি।
In fact, I have grown a lot now. The joys have changed. The sorrows have changed. The previous innocent feelings have been removed as they have become dull. And day by day I am running non-stop on a continuous path of becoming a perfect human being.
আসলে এখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছি। আনন্দ গুলো পরিবর্তন হয়েছে। দুঃখগুলো রুপ পাল্টেছে। আগের নিষ্পাপ অনুভূতি গুলো ভোঁতা হয়ে যাওয়ায় সেগুলো অপসারিত হয়েছে। আর আমি দিনে দিনে একটা পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে উঠার এক নিরন্তর পথে দিব্যি ছুটে চলছি বিরামহীন।
Congratulations! This post has been upvoted by the @blurtcurator communal account,
You can request a vote every 12 hours from the #getupvote channel in the official Blurt Discord.Don't wait to join ,lots of good stuff happening there.