খট খট শব্দ হইতেই সে পিছন ফিরিয়া তাকাইলো। একি সুভ্রতা? তুমি কখন এলে?
সুভ্রতা জবাব দিল না। সে কিঞ্চিৎ রাগ করিয়াছে। আসলে সে অনেক্ক্ষণ যাবত আসিয়া তাহার পশ্চাতে দাঁড়াইয়া ছিল। টের পায় নাই। অথচ সে পূর্বে হাজার বার বলিয়াছে তাহার শরীরের গন্ধ নাকি জন্ম জন্মান্তরের চেনা।
২৭ মিনিট যাবত দাড়িয়ে আছি। অথচ তুমি এখন জিজ্ঞাসা করিলে?
ব্যপারটা ভাবিতেই আবিরের হৃদয়টা ভাঙিয়া যাইতে লাগিল। এমনটা একদম উচিত হয় নাই। তার আরও আগে টের পাওয়া উচিৎ ছিল।
কিন্তু টের পাইলো না কেন? দু'হাতের তফাতে থাকিলেও তো সে টের পাইয়া যাইত। আজ তবে এমন হইল কেন? পূর্বে তো কখনো এমন হয় নাই।
পুড়ে যাওয়া শেষ চিঠিটির আগুন হাতে লাগিতেই আবিরের তন্দ্রা কাটিয়া গেল। ততক্ষনে হাতে ধরে রাখা চিঠিখানা পুড়িয়া আঙুলের ফাঁকে ভঙ্গুর কালি আর কালসিটে পরে গিয়াছে। এতক্ষণে সুভ্রতার উপস্থিতি টের না পাইবার কারণ উপলব্ধি করিয়া ঠোঁটের কোনে কিঞ্চিৎ হাসির রেখা ফুটিল। এ হাসি দুঃখের নাকি সুখের তাহা বিশ্লেষণ করিবার মত লেখক আমি নই।
Congratulations! This post has been upvoted by the @blurtcurator communal account,
You can request a vote every 12 hours from the #getupvote channel in the official Blurt Discord.Don't wait to join ,lots of good stuff happening there.