ঢাকার কামরাঙ্গিচরে হিজড়া ভাই বোনদের জন্যে যে মাদ্রাসা হয়েছে তা যুগান্তকারী এক প্রদক্ষেপ। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ।
অনেক হিজড়া মনে করেন আল্লাহ পাক তাদের উপর 'অবিচার' করেছেন! নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক!
আল্লাহ পাক কখনই কারো উপর অবিচার করেন না। প্রথমতো আমরা আল্লাহর কাছে কিছুই পাই না। অর্থাৎ আমাদের কোনো পাওনা বা হক আল্লাহর কাছে নেই। আমাদেরে যা দেওয়া হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে আল্লাহর অনুগ্রহ মাত্র। তাই যে যতটুকুই পেয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
হিজড়াদের ব্যাপারটা এমন নয় যে, তারা আল্লাহ পাককে পুরোপুরি নারী বা পুরোপুরি পুরুষ হওয়ার জন্যে পেমেন্ট করেছিলো, কিন্তু আল্লাহ তা দেন নি!
ব্যাপারটি কি এমন? কখনই না। তাই অবিচারের আলোচনাই আসতে পারে না। তবুও আল্লাহ পাক কাউকে নারী কাউকে পুরুষ আর কাউকে উভয়লিঙ্গের সমন্বয়ে বানিয়েছেন কেন, সেটার রহস্য তিনিই ভালো জানেন। নিশ্চয়ই এতে গভীর কোনো হিকমাহ রয়েছে।
বলতে চাইছিলাম সার্বিক পরিস্থিতিতে হিজড়াদের জন্যে দ্বীনি মাদ্রাসার খুবই প্রয়োজন ছিলো। কারণ এদের দ্বীন শিখার উপায় একেবারেই কম। অথচ এদের জন্যেও রয়েছে পরকালের হিসাব নিকাশ। আল্লাহর কিছু বান্দারা এ কাজে এগিয়ে আশায় তাদের হাজার হাজার মোবারকবাদ।
কথা চলছে 'তৃতীয় লিঙ্গ' শব্দের ব্যবহার নিয়ে।
ব্যাপারটি জটিল! সরকারি হিসাবে এদের পরিচয়ের জন্যে তৃতীয় লিঙ্গ বলা হয়ে থাকে।
ইসলামি শরীয়তে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যবহার হয় নি। আবার নিষিদ্ধ মর্মেও কিছু অধমের কাছে স্পষ্ট নয়। শরীয়ত এদের ব্যাপারে 'মুখান্নাস খুনসা' ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার করেছে। এদের হুকুমও এদের শারীরিক গঠনের আধিক্যের বিবেচনায় পুরুষ ও মহিলায় বিভক্ত।
পরিশেষে মোবারকবাদ তাদেরে যারা এই মহান কাজে হাত দিয়েছেন।
তবে তাদের কাছে দু'টি প্রস্তাব -
১- আপাতত তৃতীয় লিঙ্গের পরিবর্তে অন্য শব্দ ব্যবহার করা যায় কিনা ভেবে দেখা। আল্লাহ না করুন, এটা যদি আল্লাহর সৃষ্টির অবাধ্য হয় তাহলে সব পূন্য এখানেই সমাপ্ত!
২- এদেরে পুরুষ মহিলায় ভাগ করে আলাদা আলাদা বসার ব্যবস্থা করা হোক।
আমাদের সবার উচিৎ এই সুন্দর আয়োজনকে সহযোগিতা করা। জাযাকাল্লাহ।