আমার পোস্টের টাইটেল দেখে অনেকেই হয়তো চমকে উঠবেন।
ভাববেন,এটা আবার কেমনে সম্ভব?
কিন্তু একটু গভীর মনোযোগ দিয়ে যদি আমাদের চারপাশের সমাজ ব্যবস্থার দিকে তাকিয়ে দেখেন। তাহলে খুব সহজেই উপলব্ধি করতে পারবেন আসলেই সুপুরুষ এবং ধ্বংসাত্মক পুরুষ এর বসবাস সমাজে আছে কি না!
অবশ্যই আছে!
কিছু কিছু পুরুষ আছে যারা খুব নিখুঁতভাবে সবকিছু গড়ে জিরো থেকে হিরো হতে পারেন।
অপরদিকে কিছু পুরুষ আছে,যারা পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি ও গুছিয়ে রাখতে অক্ষম।এরা শুধু গুছিয়ে রাখা জিনিস ধ্বংস করতে পারে।
এক শ্রেণির ছেলে মানুষ দেখবেন প্রচন্ড রকমের কন্সট্রাকটিভ হয়।মেহমান আসলে ঝাপায় পড়ে দুই চারটা ডিশ নিজেই রান্না করে ফেলতে পারে।ছোটবেলায় আমার এক ছেলে কাজিন মায়ের সাথে পাকের ঘরের সব থালাবাটি মেজে ফেলতো।বড় হয়ে দেখলাম সে চমৎকার একজন দায়িত্বশীল মানুষ হয়েছে।
কিছু ছেলে মানুষকে এমন দেখি পেশায় সফল ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পরেও সব কাজে ব্যালেন্স করেও কেমন করে জানি বাড়ির পিছনে আস্ত একটা বাগান করে ফেলেছে!তাদের হাতে লাগানো লাউ কুমড়া থেকে শুরু করে গোলাপ জবা দুনিয়াকে কী সুন্দর আবাদ করে!
অনেক পুরুষ এতো এক্সট্রা কাজ করতে পারেনা,অনেক কিছুই গড়তে পারেনা হয়তো,তারপরও তারা কন্সট্রাকটিভ।তাদের আশপাশের অধঃস্তনদের সাথে তারা এতো সুন্দর আচরণ করবে,বাবা মায়ের এমনভাবে যত্ন নিবে,আত্মীয়সজন কে কোথায় কেমন আছে এমন আন্তরিকতা নিয়ে খোজ নিবে,যে কারো বিপদে নিজের বিপদ মনে করে এমনভাবে ঝাপিয়ে পড়বে,এমন একাগ্রতা নিয়ে বউ বাচ্চার টেক-কেয়ার করবে দেখলে তাদেরকে শুধু সম্মানই করতে ইচ্ছা করবে।
জীবনটা তাদের মুক্তার মতো ঝকঝকে,তারা তাদের কাছের মানুষদের ভালো রাখতে জান জীবন উজাড় করে আজীবন খেটে যায়।সত্যিকারের সুপুরুষ,সিংহ পুরুষ তো এরাই।
আরেক শ্রেণির পুরুষ আছে,তারা তাদের উপরের চোটপাট নিয়ে ব্যস্ত,শুচিবায়ুগ্রস্থ।সব কাজে এদের খুত খুত,ফিটফাটগিরি কিন্ত মানুষের সাথে এদের ব্যবহার অত্যন্ত নোংরা। অধঃস্তনদের এরা মানুষ ভাবেনা,ভাবে তার দয়ায় বাচা কিছু কীটপতঙ্গ!
এই শ্রেণির পুরুষরাই তারা যারা অন্যের কাধে ভর দিয় চলতে চায়,নিজের বউ বাচ্চা ভালো কথা বাবা মায়েরই দায়িত্ব নিতে পারেনা।কারো না কারো কাছ থেকে ছলেবলে শুধু পয়সা হাতাতে চায়।জীবনে একটা ঘরের কাজে এরা হাত দেয়না,এমন কী ঘরের বাজারটা ঠিকঠাক এদের দিয়ে করানো যায়না।কোনোদিন এদের কিছু গড়তে দেখা যায়না। একজনের গড়া জিনিস কীভাবে ভোগ করতে হয়,কীভাবে ধংস করতে হয় এর বেশি কিছু যারা জানেনা,এই ধরনের পুরুষদের আমি নাম দিয়েছি ধংসী পুরুষ।এরকম ধংসী পুরুষ যদি কোনো পরিবারের কর্তা হয়,ওই পরিবার বা পরিবারের মানুষদের দিয়ে কোনো কন্সট্রাকটিভ কাজ কিছুতেই আর সম্ভব না।কারন পরিবারের প্রধান ধংস ছাড়া আর কিছু জানেনা,আর কিছু পারেনা।