Sewing machine and Textile making are going through a big revolution in rural areas of Bangladesh....

in blurtlife •  4 years ago 

20201112_123836.jpg

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান ২য়।পোশাক শিল্পে সব থেকে নারীদের অবদান বেশি। পুরুষদের তুলনায় অনেক কম পারিশ্রমিক নিয়েও তারা দিনের পর দিন কাজ করে আসছে। সাধারণত পোশাক তৈরিতে মেয়েরা আদিম যুগ থেকেই এগিয়ে।রোকেয়া বেগম তার 'চাষার দুক্ষু' প্রবন্ধে বলেছেন যে বাঙালি নারীরা হাতে হাতে চরকা নিয়ে বেড়াতে বেড়াতে নিজেদের পোশাক নিজেরা তৈরি করতো।

বর্তমান সময়ে মেয়েদের অবসর সময় কাজে লাগানোর সব থেকে মোক্ষম উপায় হলো সেলাই মেশিনে নিজের এবং নিজের পরিবারের পোশাক নিজেই তৈরি করা।আর বাঙালি নারীরা যে খুব বোকা এমনটা কিন্তু নয়।তারা নিজের পরিবারের পোশাক তৈরির পাশাপাশি পারা প্রতিবেশীদের পোশাক তৈরির অর্ডার ও নেই। এতে তাদের যেমন ব্যায় কমে পাশাপাশি কিছু আয় ও করতে পারে। এটা করেই খুব সহজেই হাত খরচের টাকাটা তুলে ফেলে।যদিও বাঙালি গ্রাম্য নারীদের হাত খরচের টাকা লাগেইনা বলতে গেলে।তারা সেই টাকা সংসারের বিভিন্ন কাজে ব্যয় করে।

20201112_123807.jpg

সেলাই মেশিনে কাজ করতে হলে অবশ্যই আগে একজন দক্ষ এবং ভালে কারিগর থেকে কাজ শিখে নেওয়ার প্রয়োজন আছে।গ্রাম বা শহর উভয় জায়গাতেই কাজ শেখানোর জন্যে কোচিং সেন্টার,ট্রেনিং সেন্টার খোলা রয়েছে। অবস্থা সম্পূর্ণ পরিবারের মেয়েরা এসব ট্রেনিং সেন্টার গুলোতে কাজ শেখে।কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারি উদ্যোগে উপজেলা ভিত্তিক ট্রেনিং সেন্টার খেলা হয়েছে যেগুলোতে বিনামূল্যে সব শ্রেণির মেয়েদের ট্রেনিং দেওয়া হয়।এবং প্রত্যেককে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়।এবং প্রত্যেকের কর্ম দক্ষতার উপর কাজ শেখার পর অর্থনৈতিক সহয়তা প্রদান করা হয়।

সবাই নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে ভালোবাসে।মেয়েরা এখন সেলাই মেশিনে কাজ শিখে তাদের সৃজনশীলতাকে ঘর বা পারার মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে রাখছে না।তারা নিজেরা কাজ শিখে এবং আরো কিছু মেয়েকে কাজ শেখায় এবং নিজেরাই নিজেদের দয়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি অসহায় সম্বলহীন নারীদের পাশে দাড়ায়।
গার্মেন্টেসে দিনের পর দিন তাদের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমেই তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!