ব্যাচেলার চা পান করার মুহূর্ত।
বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলে ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনাদের সাথে ব্যাচেলার জীবনের ছোট্ট একটি মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব চা পান করার সময়। ব্যাচেলার অনেক খাবারে খায় তারা রান্না করে। তার মধ্যে অন্যতম একটি খাবার হচ্ছে চা। মাঝে মাঝেই আমরা এই চা পান করি। ভাবলাম আপনাদের সাথে এই চা পান করার মুহূর্তটি শেয়ার করে হয়তো ভালো লাগবে।
এই চা পান করার কোন প্ল্যান ছিল না। আর এই ব্যাচেলার সময় কখনো প্লান করা হয় না। হুটহাট করেই যেকোনো আয়োজন করা হয়। যেমনটি ভাবে আপনাদের সাথে বিগত দিনগুলোতে মুড়ি পার্টির আয়োজনগুলো করেছিলাম সেগুলোও কোন প্রকার অগ্রিম প্ল্যান ছিল না। অনুরূপভাবে এটাও ব্যতিক্রম নয়।
রুমের ভিতরে আমরা কয়েকজন বসেছিলাম এর মধ্যে আমাদের আরো একটি বড় ভাই রয়েছে। তখন কারেন্ট চলে যায়। এই সময় ভাই আমাদের বলল চলো আমাদের বাসায় যাই। ভাই ও ডিএসএলআর এর মত বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে এখনো ফ্যামিলিকে নিয়ে আসেনি, তবে ফ্যামিলি নিয়ে আসার জন্যই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভাই এর নাম হুমায়ুন। হুমায়ূন ভাই গ্যাসের চুলা এবং হিটার কিনেছে। যশোর জেলা কে সেটআপ করার জন্য আমরা চলে গেলাম তার বাসায়। যাওয়ার পর সেখানে তার গ্যাসের চুলা কে সেটাপ করে দেয়া হলো। সেখানে আমরা কয়েকজন মিলে একটি গল্প স্বল্প করলাম একটু সময় কাটালাম। হুমায়ূন ভাই বলল চলো আমরা একটু চা পান করি। বললাম ঠিক আছে চা পান করাই যায় ব্যাপার না।
তখন এই হিটারে করে পানি তুলে দেওয়া হল গরম করলাম। প্লাস্টিকের এই হিটারে পানি পান করা কিংবা পানি গরম করার মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। কারণ এগুলোতে অনেক ক্ষতিকর পদার্থ থাকে যা শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তারপরেও আমাদেরকে এগুলোতেই পানি গরম করতে হয় কিংবা পানি পান করতে হয়। ভালো কোন কিছু কিনতে গেলে অনেক টাকা-পয়সার ব্যাপার তাই কম দামেই এগুলো কেনা হয় যেহেতু আমরা মধ্যবিত্ত। বিশেষ করে এই ছাত্র জীবনে অনেক হিসাব করেই চলতে হয় টাকা পয়সা যেন কোথাও নষ্ট না করেন সেদিকে অনেক খেয়াল রাখতে হয়। আচ্ছা যাই হোক পরবর্তীতে পানি গরম হয়ে যাওয়ার পরে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়। দুটি কাচের গ্লাস ছিল আরেকটি প্লাস্টিকের গ্লাস ছিল আর একটি মগ নিয়ে আসা হয়। গরম পানির মধ্যে চা পাতিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় যখন চাপাতিসহ এই পানি ফুটন্ত হয়ে গেছে তখন এর মধ্যে চিনি দেওয়া হয় যাতে করে চা মিষ্টি হয়। পরিমাণ মতো সবার ক্লাসের মধ্যে মগের মধ্যে ঢেলে দেওয়া হলো চা।
এখানে দেখতে পারছেন ছবিগুলোতে সবাই চা পান করতেছে। হয়তো হাসি পাচ্ছে তারপরেও করার কিছু নেই আমাদেরও হাঁসি পেয়েছিল যে আমরা এভাবে চা পান করতেছি। যাই হোক ব্যাচেলারের জীবন এমনটাই হয়ে থাকে হয়তোবা ব্যতিক্রম থাকে তার মধ্যে আমাদের এমনটি।