ইমেজ মা দুর্গার
নারী শক্তি
শুভ বিজয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে আজ দূর্গা উৎসব এর দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আলোচনার জন্য আমি আবার লিখতে বসেছি। গতকাল আমি মা দুর্গার সৃষ্টি নিয়ে লিখেছিলাম। আজ আমি মর্তে তার পুজোর কাহিনী নিয়ে লিখতে বসেছি।
মা দুর্গার মর্তে পুজার কাহিনী:-
আগের পর্বে জানিয়েছিলাম দেবী দুর্গা হিমালয় পর্বত এর কন্যা। মৃন্ময়ী রূপে মা দূর্গা শিব এর স্ত্রী ছিলেন। শাস্ত্র মতে দূর্গা পূজার উপযুক্ত সময় বসন্ত কাল। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী সূর্য বংশীয় রাজা সুরথ বসন্ত কালে, চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের অষ্টমী ও নবমী তিথিতে দুর্গা পূজার প্রচলন করেন। তাই এই পুজো বাসন্তী পুজো নামে পরিচিত।
কিন্তু হিন্দুদের মহোৎসব হিসেবে যে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয় সেটি শ্রী রাম চন্দ্র শরৎ কাল এ যে অকালবোধন করেন সেটাই আনুষ্ঠিত হয়। আজ এই অকাল বোধনের কাহিনী টাই আপনাদের জনাব। রাবণ যখন সিতা কে হরণ করে নিয়ে যায়। তখন রামচন্দ্র সীতাকে উদ্ধার করার জন্য অসময় মা দুর্গাকে আহ্বান করতে নিজের হাত এ তার মূর্তি গড়ে।কারণ রাবণ কে মারবার বিশেষ অস্ত্র তার প্রয়োজন হয় যেটা আনতে তিনি হনুমান কে রাবণ এর স্ত্রী মন্দদরী র কাছে পাঠান। মা দুর্গা কে সন্তুষ্ট না করে সেটা পাওয়া সম্ভব ছিল না।কারণ রাবণ ও মা দুর্গার একনিষ্ট ভক্ত ছিলেন। তাই তিনি ঠিক করেন ১০৮ টি নীল কমল দিয়ে তিনি দেবী দূর্গা কে পুজো করবেন। কিন্তু সমস্যা হলো নীল কমল খুব ই বিরল মর্তে। অনেক খোজার পর ব্রাহ্ম সরোবর থেকে ১০৮ টি নীল কমল তিনি জোগাড় করেন। যথারীতি পুজোর আয়োজন সম্পূর্ণ হলে। মা দুর্গা তার ভক্তির পরীক্ষা নিতে চান যেহেতু রাবণ ও তার ভক্ত। মা দুর্গা একটি কমল লুকিয়ে ফেলেন। পুজো করতে বসে শ্রী রাম যখন দেখলেন একটি কমল কম, তখন তিনি নিজের একটি চক্ষু সেই কমল এর জায়গায় নিবেদন করেন। তার ভক্তিতে মা দুর্গা সন্তুষ্ট হন এবং যুদ্ধে জয়লাভ এর আশীর্বাদ দেন। এই ভাবে শরৎ কাল এ মর্তে দুর্গা পূজার প্রচলন হয়।
ইমেজ মা দুর্গার বরণ