বঙ্গ নারী
মা দূর্গা বরণ
মা এর গমন কৈলাস এ
প্রিয় পাঠক গণ,
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজ আমি দুর্গা পূজার শেষ পর্ব নিয়ে হাজির। আজ আপনাদের সাথে পুজোর আচার আর মা দুর্গার দশটি অস্ত্রের বিবরণ দিতে হাজির হয়েছি। পূর্বেই মা দুর্গার দশটি অস্ত্রের উল্লেখ করেছি। আজ তার প্রতীক সম্পর্কে জানবো।
১) শঙ্খ:- প্রবোধ বা হুঙ্কার ধ্বনি কে বোঝায়। যা জিব জগৎ এ প্রাণের সঞ্চয় করে।
২) তীর ধনুক:- ইতিবাচক শক্তির প্রতীক।
৩) বজ্র:- সংহতি ও দৃঢ়তার প্রতীক।
৪) ত্রিশূল:- শোনা যায়, ত্রিশূল এর তিনটি ফলার আলাদা আলাদা অর্থ আছে। মানুষের তিনটি গুন, তমোঃ ,রজঃ ও সত্যকে ব্যাখ্যা করে এই তিনটি ফলা।
৫) গদা:- যা অনুগত্য, ভালোবাসা এবং ভক্তির প্রতীক।
৬) সাপ:- বিশুদ্ধ চেতনার প্রতীক।
৭) অগ্নি:- জ্ঞান এবং বিদ্যার প্রতীক।
৮) চক্র:- যার অর্থ হল সমস্ত সৃষ্টি ও জগৎ এর কেন্দ্রে অধিষ্ঠান রয়েছেন দেবী দুর্গা।
৯) পদ্ম:- পদ্ম যেমন পাঁকে জন্মিয়ে ও সুন্দর। তেমনি মায়ের আশীর্বাদে যেন অন্ধকারের মধ্যেও আলোর আবির্ভাব হয়। সেই বার্তাই দেয় পদ্ম ফুল।
১০) খড়গ:- মানুষের বুদ্ধির প্রতীক। যার জোরে সমস্ত বৈষম্য এবং অন্ধকারকে ভেদ করতে পারে মানুষ।
কোন দিন কোন বিধি পালিত হয়:-
১) মহালয়ার দিন মা দুর্গাকে চক্ষুদান করা হয়।
২) ষষ্ঠী:- বোধন, অস্ত্রদান।
৩) সপ্তমী:- কলাবৌ স্নান।
৪) অষ্টমী:- কুমারী পূজা।
৫) নবমী:- অষ্টমী র নবনীর সন্দ্ধিখনে মহিষাসুর কে কে মা বধ করেন। তাই বলির দেওয়া হয় সন্ধিক্ষণ এ। এখন পাঠা বলি আর কেউ দেয় না। তাই চাল কুমড়ো বা আঁখ বলি হয়।
৬) দশমী:- মা দুর্গাকে বরণ করা হয়। ভোগ দেওয়া হয় পান্তা ভাত, কচুর শাক আর ইলিশ মাছ দিয়ে।
দুর্গা পুজোর সারমর্ম হলো:- অসত্যের উপরে সত্যের জয়।
নারী মা, নারী স্ত্রী, নারী ভগিনী। আজ সর্বত্র নারী এগিয়ে চলেছে। কিন্তু আজ ও অনেক নারী এমন ও আছে যারা বিভিন্ন কারণে কুলষিত হচ্ছে সমাজ এর বুকে। শুধু এইটকুই অনুরোধ একজন নারী হিসেবে সমাজের কাছে ,সন্মান করুন সমস্ত নারী জাতীকে। মা দুর্গা কিন্তু নারী। যতক্ষণ নারী মৃন্ময়ী রূপ ধারণ করে আছে ততক্ষণ তাকে দুর্বল ভাববেন না। মহামায়া রূপ নিলে এই পৃথিবীর অস্তিত্ব থাকবে না। নারী কমজোর নয়। নারী যেমন মমতার রূপ, তেমনি চণ্ডী ও সেই নারী। সমাজ কে পরিবর্তন করতে হলে সেটা নিজের ঘর থেকে শুরু করুন।🙏
যাও নীলকন্ঠ পাখি, খবর দাও তারে।
ফিরছে উমা কৈলাস এ।
তাঁরই সংসারে........