রিমি আর আমি সর্ষে ক্ষেতের পাশে দাড়িয়ে -
প্রিয়,
পাঠকগণ,
কেমন আছেন আপনারা সবাই?
আজ কথা বলবো পুরোনো কিছু দিন, কিছু স্মৃতি, কিছু ভালো লাগা, আর বর্তমানে সেগুলো মনে করে একটু একটু খারাপ লাগা নিয়ে।
"শীতকাল" মানেই আমাদের মনে আসে বাজারে নতুন সব্জি র আগমন,চারিদিকে পিকনিকের উচ্ছাস, খেজুরের রসের হাঁড়ি আর সেই রসের তৈরী পাটালির গন্ধ, পিঠেপুলির উৎসব,বড়দিনের মজা তেমনই শীতকাল মানেই মনে পড়ে সুযোগ পেলেই সর্ষের ক্ষেতে গিয়ে সবাই মিলে ফটো তোলার স্মৃতি।
শীতকালে সর্ষের ক্ষেত দেখতে অসম্ভব ভালো লাগে, একটা অদ্ভুত সৌন্দর্য্য আছে ওই হলুদ ফুলের হাওয়ায় দোলার মধ্যে।
সত্যি বলতে সামনে সর্ষের ক্ষেত দেখে সেখানে দাড়িয়ে ফোটো তোলার ইচ্ছে হয়না এমন মানুষ বোধহয় খুবই কম আছেন, হয়তো ব্যস্ত জীবনে সুযোগ হয়ে ওঠে না। যেমন আমি, বিয়ের আগে প্রায় প্রতিদিন দুপুরে খাওয়া দাওয়া হয়ে গেলে পাড়ার অনেকে মিলে মাঠে যেতাম।
মায়েরা কতো রকমের শাক তুলতো আর আমরা সব ঘুরে ঘুরে দেখতাম কে কী চাষ করেছ আর সর্ষের ক্ষেত দেখলেই ফোটো তোলা শুরু। আজ ফোনের গ্যালারি ঘাটতে ঘাটতে তেমনি পুরোনো কতগুলো ফোটো পেলাম, ভাবলাম আপনাদের সাথে সেই গল্প শেয়ার করি।
তখন আমাদের লাইফ কতো সিম্পল ছিলো।ভাবিনি লাইফেও এতো প্রবলেম থাকে। তখন আমাদের ৪-৫ জনের জুটি ছিলো, আমি,রাখি(ঝুনুদি), রিমি (ফুলি), সোমা আর পিয়ালী (ছোটো বুড়ি আর বড়ো বুড়ি) এরা দুজন যমজ বোন, বয়সে একটু বড়ো কিন্তু আমরা একসাথেই থাকতাম। বিয়ের পর এখন সবাই নিজের জীবনে ব্যস্ত, কতো বছর সবাই একসাথে হইনা, একমাত্র বাড়ি গেলে ঝুনুদির সাথে আড্ডাটা একই রকম চলে। আর মাঝে মাঝে কারোর সাথে দেখা হয় যখন তারা ওখানে আসে।
মেয়েদের এই এক জীবন। ছেলেরা বিয়ে করলেও তাদের পরিবেশ পাল্টায় না আর মেয়েরা বিয়ের পর আবার নতুন করে নতুন পরিবেশে বাঁচতে শেখে। আজ ফটো গুলো দেখে সেই সব পুরোনো কথা মনে পড়ছে, মিস করছি সেই সব দিন, সেই মাঠ, সেই খেলাধূলা, সেই বন্ধুত্ব।
আসলে আর ও যত দিন যাবে তত বেশি করে এটা ঝুঝতে পারবো যে দিন যায় ভালোই যায়। ওই সময়, ওই স্মৃতি,ওই ভালোবাসা,সবকিছুই অমূল্য। শুধু একটাই চাওয়া যে যেখান আছে যেনো ভালো থাকে সুস্থ থাকে।
আপনারাও ভালো থাকবেন।শুভরাত্রি।
সর্ষের ক্ষেতে আমি-
রাখীর(ঝুনুদি) সাথে-
সোমার(ছোটো বুড়ি) সাথে-
হলুদের মাঝে-